পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এ আমার দেশের দান নয়— এমন কেউ দিয়েছেন যিনি আমার সমানধৰ্ম্ম । আমাকে বিশেষ করে মুগ্ধ করেছে এইজন্তে, বিশেষভাবে আমারই ভার লাঘব ও সম্মান রক্ষার জন্যেই এই দাক্ষিণ্য, কোনো প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশে নৈর্ব্যক্তিক অৰ্ঘ্যদান নয়। আমি বেঁচে থাকি, আমি আরাম পাই এই অকৃত্রিম দরদ দেশের কোনো একটিমাত্র জায়গাতেও থাকতে পারে এমন প্রত্যাশার লেশমাত্রও আমার মনে ছিল না । অথচ র্যারা একমুহূর্তের জন্যেও আমার কৰ্ম্মক্ষেত্রের সুদূর প্রান্তেও পা বাড়ান নি তারা নিজেদের কীৰ্ত্তি এবং স্বার্থের জন্তে আমার নামের সংস্রব প্রার্থনা করতে কোনো সঙ্কোচ বোধ করেন না, অর্থাৎ তারা আমার ভার বাড়িয়েই থাকেন, ভার লেশমাত্র কমাবার জন্যে লেশমাত্র ইচ্ছা দেখান না। বাংলাদেশের কাছ থেকে মিথ্যা নিন্দ ও গালি দেশের লোকের বিনা আপত্তিতে আমি যেমন সহ্য করেছি এমন আর কেউ করে নি। এ দেশে আমার শেষ বয়স পর্য্যন্ত আমি চিরনিৰ্ব্বাসনদশা ভোগ করেছি। অামার শক্তি আমার অর্থ অামার খ্যাতি এই প্রদেশকেই নিঃশেষে আমি সমর্পণ করে দিয়েছি। আজ গঞ্জনার বোঝা ঘাড়ে নিয়ে জীবনযাত্রার সুদীর্ঘ পথের শেষে আমার প্রদেশের বাইরে থেকে এই যে ভালোবাসার প্রমাণ পেয়েছি এর চেয়ে বড়ো পুরস্কার আমি আর কিছু পাই নি। যে ছুটি আজ আমার অত্যন্ত আবশ্বক ছিল সেই ছুটির এতবড়ো দাম একমুহূৰ্ত্তে যিনি শোধ করে দিয়েছেন তার উদ্দেশে রইল আমার জীবনের শেষ নমস্কার। "לף צ