পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিষয় হোতে না। আমাকে আমার স্বভাবের পথ ধরিয়ে দিয়ে নিজে সে কোথায় করেছে অন্তধান । মনে আছে যে প্রবল বেদনায় সেই লেখাটা হঠাৎ উৎসারিত হয়েছিল সেটা অত্যন্ত আমার অস্তম, ভিড়ের লোকের হাতে দিতে অত্যন্ত সঙ্কোচ বোধ হয়েছিল— একলা ঘরে বসে সেটা লিখেছিলুম স্নেটে, এবং মুছে ফেলেছিলুম। তারপর থেকে আমার কাব্যস্বরূপ আপন দেহকে প্রকাশ করেছে আপন প্রাণশক্তির প্রবর্তনায়। এর মধ্যে স্বাভাবিক পরিবর্তন চলে কিন্তু অনুকরণ চলে না। এই ডাঙার শরীর যদি কোনো খেয়ালে জলে সাতার দিতে চায় তবে মানুষরূপেই দেয়, রুই মাছ সেজে দেয় না। দেশবিদেশ থেকে নানারকম ভাবের প্রেরণা এসে পৌছেচে আমার মনে এবং রচনায়, তাকে স্বীকার করে নিয়েছি, তা আমার কাব্যদেহকে হয় তো বল দিয়েছে পুষ্টি দিয়েছে কিন্তু কোনো বাইরের আদশে তার স্বাভাবিক রূপকে বদল করে দেয় নি । ভিতরের দিক থেকে ভাব গ্রহণ করবার মানসিক আধার প্রশস্ত, কিন্তু বাইরের দিকে যে দেহরূপ আছে তার স্বাভাবিক গঠন একটা চেহারার সীমায় বাধা, সেই সীমার মধ্যেই কিছু কিছু তার বাড়া কমা, কিছু কিছু তার অদলবদল চলতে পারে— কিন্তু আগাগোড়া রূপবদল দেখলেই বুঝি সেটা অাদর্শকে গ্রহণ করা নয় সেটা আদর্শকে নকল করা। এই জিনিষটাকে আমি বিশ্বাস করতে পারি নে। এই দেখনা কেন, যাচনদার এখনকার কোনো ছবিকে ওরিয়েণ্টাল মার্ক। দিয়ে যদি হাটে চালান দেয় তা হলে বুঝব সেটা মুজিয়মের ר ס\ s