পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জিনিষ ; কোনো একসময়কার যে প্রাচ্য আর্ট সত্য ছিল সজীব ছিল তারি ছাচে ঢালা নকল পদার্থকেই আজ ওরিয়েণ্টাল বলে। অবনের মধ্যে যদি প্রাচ্যশিল্পের প্রেরণা থাকে সেটা ভিতর থেকেই কাজ করবে, তার চিত্র দেহের বাইরে রূপ যদি কেবলি অজস্তা কাংড়াভ্যালি আর মোগল আর্টেরই দাগ বুলানো হতে থাকে তাহলে ব্যবসায়ী যাচনদারেরা তাকেই ওরিএন্টাল আর্ট বলে খাতির করবে বটে কিন্তু তাকে স্বভাবসিদ্ধ আর্ট বলা চলবে না। অবনের অার্টের যদি স্বাভাবিক প্রাণগত অভিব্যক্তি থাকে তবে তাকে একান্ত বিশেষ শ্রেণীগত মার্কার বেষ্টনীভুক্ত করা চলবেই না। তেমনি আমাদের দেশে হাল আমলের কাব্য, যাকে আমরা আধুনিক বলচি যদি দেখি তার দেহরূপটাই অন্য দেহরূপের প্রতিকৃতি তাহলে তাকে সাহিত্যিক জীবসমাজে নেব কী করে ? যে কবিদের কাব্যরূপ অভিব্যক্তির প্রাণিক নিয়মপথে চলেছে তাদের রচনার স্বভাব আধুনিকও হতে পারে সনাতনীও হতে পারে অথবা উভয়ই হতে পারে, কিন্তু তার চেহারাটা হবে তাদেরই, সে কখনোই এলিয়েটের বা অডিনের বা এজরাপাউণ্ডের ছাচে ঢালাই করা হতেই পারে না । সজীব দেহের আপন চেহারার পরিচয়েই মানুষকে সনাক্ত করা চলে, তার পরে চালচলনে তার ভাবের পরিচয় নেওয়া সম্ভব হয় । যে কবির কবিত্ব পরের চেহারা ধার করে বেড়ায় সত্যকার আধুনিক হওয়া কি তার কর্ম ? তোমাকে আমি এত কথা বললুম তার মূলে আছে আমার নিজের কাব্যরূপের অভিব্যক্তির অভিজ্ঞতা। সেই অভিব্যক্তি ミ\○ケ