পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

} } & ২• মে ১৯৩৯ কল্যাণীয়েষ্ণু অত্যন্ত উদ্বেগ নিয়ে তোমাকে চিঠি লিখতে বসেছি । কিছু কাল আগেই দেশের মন ছিল মরুময়। দিগন্তব্যাপী অনুর্বরতা তার ভিন্ন ভিন্ন অংশের মধ্যে পণ্য-বিনিময়ের সম্বন্ধ অবরুদ্ধ করে বহু যুগকে দরিদ্র করে রেখেছিল। এমন সময় আশ্চর্য অল্পকালেই বৃহৎ শূন্যতার মাঝখানে কনগ্রেস মাথা তুলে উঠল দূর ভবিষ্যতের অভিমুখে, মুক্তির প্রত্যাশ বহন করে, বহুশাখায়িত বিপুল বনস্পতির মতো। বিরাট জনসাধারণের মন আশ্চর্য দ্রুতবেগে বদলে গেল ; সেই মন আশা করতে শিখল, ভয় করতে ভুলে গেল, বন্ধনমোচনের সঙ্কল্প করতে তার সঙ্কোচ আর রইল না । কিছু দিন আগেই দেশ যা অসাধ্য বলেই হাল ছেড়ে বসে ছিল এখন তা আর অসম্ভব বলে মনে হল না । ইচ্ছা করবার দৈন্ত আজ ঘুচেছে। এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্ত পর্যন্ত সমস্ত দেশের এত বড়ো পরিবর্তন ঘটতে পেরেছে কেবল এক জন মাত্র মানুষের অবিচলিত ভরসার জোরে, সেই ইতিহাসের বিস্ময়করত হয়ত ক্ষণে ক্ষণে স্থানে স্থানে অস্বীকৃত হতেও পারবে এমনতরো অকৃতজ্ঞতার আশঙ্কা মনে জাগছে । 靜 সফল ভবিতব্যতার আশ্বাস নিয়ে আজ যে কনগ্রেস ২৭৮