পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেখানে তার প্রেত উঠেছে জেগে, যে রাস্তা দিয়ে তারা নিস্ক্রাস্ত হয়েছে সেই রাস্তা দিচ্চে দেখিয়ে । তবু সেই বর্মমন্থর জন্তুরাই যে মানুষের ভবিষ্যৎবত্মের পথপ্রদর্শক এ কথা মন মানতে চায় না। কেননা সমস্ত বিরোধের মধ্যে মানুষকে দেখেছি। মাথাগুণতিতে তারা অল্প, কিন্তু “স্বল্পমপ্যস্ত ধর্মস্ত ত্রায়তে মহতো ভয়াৎ ” আজ যে বৈশ্বযুরোপ ব্রাহ্মণের বিদ্যা, ক্ষত্রিয়ের অস্ত্র, শূদ্রের দাস্ত নিজের শক্তিক্ষেত্রে অপহরণ করে অপ্রতিহত হয়ে উঠেছে এই তো দেখচি বিনাশের ঢালুতটে তার পা পড়ল। টিকে থাকবার শক্তি তার নয়, সে শক্তি তাদেরই যারা অলুব্ধ, যারা নম্র, যারা শান্ত, যারা বিশ্বাসপরায়ণ, যারা প্রমাণ করতে এসেছে মনুষ্যত্ব পরস্পরকে গিলে গিলে নয়, পরস্পরে মিলে মিলে। তারা কোনো একটা বিশেষ জাতি নয় তারা সকল জাতির মধ্যেই ব্যক্তিগতভাবে অখ্যাত হয়ে আছে। আমি মানুষকে বিশ্বাস করি, মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে তার যাত্রা, এই কথা সে প্রমাণ করবে যে, সে মৃত্যুঞ্জয় । ইতি ২০৬l৪০ তোমাদের রবীন্দ্রনাথ \O\O\C)