পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করতে আস্ত, সেটা তাদের নিজের অধিকারলাভের সুবিধাসাধনের দাবী নিয়ে নয়, সাধারণ হিতের প্রতি লক্ষ্য করে। সেই জন্যে তখনকার দিনের উৎসব প্রভৃতিতে তাদের অক্লান্ত উৎসাহ আমাদের এত বেশি সাহায্য করেচে। আশ্রমের প্রতি আত্মীয়ভাবের নিষ্ঠ যদি ওখানকার মেয়েদের মনে স্বভাবতই স্ফৰ্ত্তি না পায় তা হলে জানব ঐ অংশে সমস্ত আশ্রমের সাধনা ব্যর্থ হয়েচে । নুটু আমাদের আশ্রমেরই মেয়ে— শিশুকাল থেকে সে সৰ্ব্বতোভাবেই ঐখানে মানুষ হয়েচে– আশ্রমের জন্যে সে সাধ্যমত চেষ্টা করচে এ সম্বন্ধে আমাদের সন্দেহ নেই। কিন্তু তার সেই চেষ্টা ওখানকার ছাত্রীমণ্ডলীর মধ্যে ব্যাপ্ত হতে না পারলে যথার্থ সফলতালাভ করবে না। তাই ইদানীং আমার মনে হচ্ছিল যে মেয়েরা যদি স্বতন্ত্র আশ্রমসম্মিলনীর প্রতিষ্ঠা করে ও সন্মিলনীতে তাদের সম্মিলিত সাধনা যদি আশ্রমের হিতসাধনে তাদের দায়িত্বকে উদ্বোধিত করে তোলে তাহলে আমার সমস্ত ক্ষোভ দূর হয়। একদিন শান্তিনিকেতনে গুরুপল্লী ছিল না— তখন ওখানে তুই একটি গৃহস্থ বাড়িতে ছাড়া মেয়ের কেউ থাকতেন না। তখন কতদিন আমি কবিসুলভ কল্পনায় আশ্রমলক্ষ্মীদের কথা ভেবেছি— তখন আমার মনে ছিল ওখানে গুরুপত্নীদের আসন প্রতিষ্ঠা যদি হয় তাহলে আশ্রম প্রাণে পূর্ণ হয়ে উঠবে। কিন্তু আমার সে কল্পনা রূপ গ্রহণ করেনি । এমেরিকায় Urbanaয় যখন ছিলাম তখন Mrs Seymour প্রভৃতি গুরুপত্নীদের লোকসেবা আমি দেখেছি ও তার মাধুর্য্য আমি ভোগও করেছি। ঠিক সেই し*○