পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্থ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sti હૈં { শাস্থিনিকেতন কল্যাণীয়েযু নীতু, তোর চিঠি পেয়ে খুসি হলুম। জৰ্ম্মানিতে ব্যাভেরিয়ার ভাবগতিক ভালো লাগচে না । যেখানে দারিদ্রো মানুষ দুর্বল সেইখানেই যেমন মারা মড়ক জোর পায় তেমনি আজকালকাপ য়ুরোপে দুর্ভিক্ষ যতই ছড়িয়ে পড়চে ততই ফাসিজম এবং বলশেভিজম জোর পেয়ে উঠুচে। দুটোই অস্বাস্তোর লক্ষণ । মানুষের স্বাধীনবুদ্ধিকে জোর করে মেরে তার উপকার কর যায় এ সব কথা সুস্থচিত্ত লোকে মনে ভাবতেই পারে ন!! পেটের জ্বালা বাড়লে তখনই যত বৃদ্ধি মানুষকে পেয়ে বসে। বলশেভিজম ভারতে ছড়াবে বলে আশঙ্কা হয়—কেননা অন্নকক্ট অত্যন্ত বেড়ে উঠেচে– মরণদশ যখন ঘনিয়ে আসে তখন এর যমের দৃত হয়ে দেখ দেয়। মানুষের পক্ষে মানুষ যে কি ভয়ঙ্কং তা দেখলে শরীর শিউরে ওঠে—মারের প্রতিযোগিতায় কে কাকে ছাড়িয়ে যাবে সেই চেষ্টায় আজ সমস্ত পৃথিবী কোমর বেঁধেচে-- মামুষের হাত থেকে বাঁচবার জন্যেই মানুষ কেবলি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠচে—এর আর শেষ নেই—খুনোখুনির ঘূর্ণিপাক চলল। আর যাই করিস্ এই সব মানুষখেগে দলের সঙ্গে খবরদার মিশিস্নে। যুরোপ আজ নিজের মহত্ত্বকে সব দিকেই প্রতিবাদ