পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবিবর) শিলাইদহে আসিয়াছেন, দুই এক দিনের মধ্যেই জলপথে এখানে আসিবেন । প্রভুর সহিত আমার প্রথম সাক্ষাৎকার হইবে ভাবিয়া, আমি বিশেষ আনন্দিত হইলাম। পরদিন শুনিলাম, শ্ৰীযুত বাবুমশায় আসিয়াছেন, অদূরে বোটের মাস্তল ধান্তাশীর্ষ ভেদ করিয়া দৃষ্টিগোচর হইতেছে, অবিলম্বেই বোট ঘাটে আসিয়া লাগিবে । সকলেই দেখা করিবার জন্য সজ্জিত হইতে লাগিলেন, আমিও দেখাদেখি প্রস্তুত হইলাম । এদিকে যথাকালে বোট পতিসরের ঘাটে আসিয়া লাগিল । কৰ্ম্মচারীরা পদগৌরবানুসারে অগ্রপশ্চাদভাবে শ্রেণীবদ্ধ হইয়া বোটের দিকে অগ্রসর হইতে লাগিলেন— আমিও গতানুগতিকের স্যায় তাহদের অনুসরণ করিলাম। সকলেই ক্রমে ক্রমে বোটের মধ্যে প্রবেশ করিয়া, যথারীতি প্রভুর পাদবন্দনাদি করিলেন, আমিও সামাজিক নিয়মে সবিনয়ে ভক্তিভাবে নমস্কার করিলাম । আমি নূতন কৰ্ম্মচারী, স্বতরাং, প্রথম সাক্ষাৎকারে আমার সহিত বিশেষ কথোপকথনের সম্ভাবনা নাই— দুই একটি কুশলপ্রশ্নাদি জিজ্ঞাসার পর, আমি বিদায় লইয়। আমার ঘরে ফিরিয়া আসিলাম । কিছুক্ষণ পরে একজন আমার ঘরে আসিয়া বলিলেন– ‘বাবুমশায় আপনাকে ডাকিতেছেন, আস্থন। আমি তৎক্ষণাৎ তাহার সঙ্গে বোটে গিয়া বাবুমশায়ের সম্মুখে দণ্ডায়মান হইলে, তিনি স্বাভাবিক সস্নেহে মধুর বাক্যে আমাকে বসিতে অনুমতি দিলেন, আমি বসিলাম । তখন তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, তুমি এখানে কি কর ? আমি বলিলাম, আমিনের সেরেস্তায় কাজ করি। ইহার পরে তিনি বলিলেন, ‘দিনে,

  • తిd