পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর পাইবে না । লরেন্স পড়াইৰার বিদ্যা যেমন জানে এমন অল্প লোককেই দেখিয়াছি। ও আমাকে এখন ছাড়িতে চায় না কিন্তু উপায় দেখি না।” শান্তিনিকেতন বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দ্বিতীয় বর্ষেই রবীন্দ্রনাথ লরেন্সকে বিদ্যালয়ের ইংরাজি শিক্ষকরূপে নিয়োগ করেন । ৮ মাঘ ১৩০৯ বঙ্গাব্দে রবীন্দ্রনাথ মনোরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়কে লিখছেন, "লরেন্সসাহেব আগামী মার্চ মাসে বোলপুরে যাইবে ।" এর অল্প কিছুকাল পরে, ১৯ চৈত্র ১৩০৯ হাজারিবাগ থেকে দীনেশচন্দ্র সেনকে রবীন্দ্রনাথ লিখছেন, “সেখানে [ শাস্তিনিকেতন বিদ্যালয়ে ] ইংরাজি শিক্ষা দিবার জন্ত একজন ইংরাজ শিক্ষক রাখিয়াছি কিন্তু তাহার কাজ দেখিয়া আসিতে পারি নাই সেইজন্য মন উদ্বিগ্ন আছে ।" লরেন্স শাস্তিনিকেতনে বেশিদিন থাকেন নি । অজিতকুমার চক্রবর্তী র্তার ব্রহ্মবিদ্যালয়’(১৩১৮) গ্রন্থের পরিশেষে আশ্রমের ভূতপূর্ব অধ্যাপকদের যে তালিকা দিয়েছেন সেখানে ১৩০৯ থেকে ১৩১১ বঙ্গাকাকাল পর্যন্ত যে-সমস্ত অধ্যাপক এই বিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন তাদের সঙ্গে লরেন্সের নামও অস্তভুক্ত আছে । মোহিতচন্দ্র সেনকে লেখা ২• আষাঢ় ১৩১১ ( ৪ জুলাই ১৯০৪ ) এক পত্রে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, "লরেন্সকে জিজ্ঞাসা করবেন বোলপুরেই যদি আবদ্ধ রাখি তাহলে কত টাকা বেতনে সে থাকতে রাজি হয় । তার যাতায়াতেই অনেক টাকা মাশুল খরচ পড়ে যাবে— তার উপর বেতন যা দাবী করবে সেটা সবস্থদ্ধ জড়িয়ে মন্দ হবে না । জৰ্ম্মান উচ্চারণটা আপনারা ভাল করে দোৱস্ত করে নেবেন ।" শাস্তিনিকেতন রবীন্দ্রভবন অভিলেখাগারে রক্ষিত রবীন্দ্রনাথের ক্যাশবহিতে ২৩ কার্তিক ১৩১১ ( ৮ নভেম্বর ১৯০৪ ) তারিখে দেখা যায় २ ॐ ३