পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড ১৯৪৫)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিঠিপত্র S89 কিছু না কিছু বিরহের দশা উপস্থিত হয়— এমন কি প্রণয়িণী কাছে থাকলেও হয়— কবি নিজেই লিখেছেন— “মেঘালোকে ভবতি সুখিনোহপ্যনথাবৃত্তিচেত: কণ্ঠাশ্লেষে প্রণয়িনিজনে, কিংপুনদুরসংস্থে ” অর্থাৎ মেঘলা দিনে প্রণয়িনী গলায় লেগে থাকলেও সুখী লোকের মন উদাসীন হয়ে যায় দূরে থাকলে ত কথাই নেই! অতএব কবিকে বর্ষার দিনে এই জগদ্ব্যাপী বিরহীমণ্ডলীকে সাস্বনা দিতে হবে কেবল ক্রিটিক্‌কে না । এই বর্ষার অপরাহুে ক্ষুদ্র আত্মকোটরের মধ্যে অবরুদ্ধ বন্দীদিগকে সৌন্দর্ঘ্যেরস্বাধীনতাক্ষেত্রে_মুক্তি_দিতে হবে— আজকের সমস্ত সংসার দুৰ্য্যোগের মধ্যে রুদ্ধ হয়ে অন্ধকার হয়ে বিষন্ন হয়ে বসে আছে ! মেঘদূত পড়তে পড়তে আর একটা চিন্তা মনে উদয় হয়। সেকালেই বাস্তবিক বিরহী বিরহিণী ছিল এখন আর নেই । পথিকবধূদের কথা কাব্যে পড়া যায় কিন্তু তাদের প্রকৃত অবস্থা আমরা ঠিক অনুভব কৰ্ত্তে পারিনে। পোষ্টঅফিস্ এবং রেলগাড়ি এসে দেশ থেকে বিরহ তাড়িয়েছে। এখন ত আর প্রবাস বলে কিছু নেই— তাইজন্তে বিরহিণীর আর কেশ এলিয়ে আর্জতন্ত্রীবীণা কোলে করে ভূমিতলে পড়ে থাকেনা । ডেস্কের সামনে বসে চিঠি লিখে মুড়ে টিকিট লাগিয়ে ডাকঘরে পাঠিয়ে দেয় তার পরে নিশ্চিন্তমনে মানাহার করে । এমন কি ইংরাজ রাজত্বেও কিছুদিন পূৰ্ব্বে যখন ভালরূপ