পাতা:চিঠিপত্র (সপ্তম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কথার মধ্যে যেটুকু বুদ্ধি, যেটুকু ভাব থাকে তাতে আমাদের বুদ্ধি ও হৃদয়ের কিছু তৃপ্তি হতে পারে, আত্মার আশ্রয় তাতে সম্পূর্ণ হয় না । সেই আশ্রয় যারা দেন তারা আর একশ্রেণীর মাতুষ— যে বিধাতা খেলা করেন সেই বিধাতার সার্থী র্তারা নন, যে বিধাতা বিধান করেন সেই বিধাতার দৌত্য তাদের হাতে । তোমার যে চিঠিগুলি সেদিন আমি পেয়েছিলুম, তার মধ্যে তোমার একটি সহজ বুদ্ধি ও ভাবের গভীরতা দেখে আমি আনন্দিত ও বিস্মিত হয়েছিলুম। সেই কারণেই আমি বিশেষ শ্রদ্ধা ও যত্বের সঙ্গেই তোমাকে উত্তর লিখেছি । এখনকার চেয়ে তখন আমার হাতে সময় বেশি ছিল— শরীরও সুস্থ ছিল— তোমার কথা বিশেষভাবে মনে রেখে তোমাকে আমার চিন্তার দ্বারা যথাসাধ্য সাহায্য করায় আমার আনন্দ ছিল । আমি খুব অল্প মেয়েকেই জানি, যে তোমার মত এমন সংযতভাবে সুস্পষ্ট ভাবে ও একাগ্রভাবে চিন্তা করতে ও চিন্তা গ্রহণ করতে পারে । আমি জানি আমার অনেক কথাই তোমার আজন্ম-সংস্কারের প্রতিকূল ছিল। অন্য কেউ হলে ক্ষোভে, এমন কি, অবজ্ঞায় সে সব কথা প্রত্যাখ্যান করত । কিন্তু তুমি ব্যথিত হয়েও আমার কথা স্থিরভাবে বোঝবার সহিষ্ণুতা কখনো হারাও নি। কোনোদিন তোমাকে আমার মতে আনব একথা কখনই ভাবি নি— সব দিক থেকে সকল কথা ভেবে নেবার পক্ষে তোমার মনে কোনো বাধা না থাকে এইটেই আমার ইচ্ছা ছিল । যারা গুরু তারা নিজের বিশ্বাসের জোরে নিজের মতে সবাইকে প্রবত্তিত করতে ) ) ని