পাতা:চিঠিপত্র (সপ্তম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

^38 ৪ মার্চ ১৯১৪ 轉 હૈં বোলপুর কল্যাণীয়াসু মা, তোমার সঙ্গে দেখা হইলে হয়ত কথা বুঝাইয়া বলা সহজ হইত কিম্বা হয়ত হইত না । ঈশ্বর ত আমাকে গুরুর আসনে বসান নাই— আমি ত কাহাকেও পথ দেখাইবার শক্তি রাখি না— কেন না আমি কবি মাত্র— আমি পথ চলিতে চলিতে গান গাহি— গম্যস্থানের খবর লইও না কাহাকেও দিই না । কেহ যখন জিজ্ঞাসা করে কেমন করিয়া সাধনা করিব আমি বলি আমি ত সাধনা করি নাই – আমাকে ঈশ্বর যে পৃথিবীতে পাঠাইয়াছেন সেখানে যে আমি নিরবচ্ছিন্ন সুখ পাইয়াছি তাহা নহে— প্রথম হইতেই বিস্তর আঘাত সহিয়াছি— কিন্তু ছেলেবেলা হইতেই এই পৃথিবীর আলো এবং আকাশ, এখানকার প্রাণের লীলা এবং শক্তির তরঙ্গবেগ আমার মনকে অত্যন্ত আকর্ষণ করিয়াছে । জগতের মাঝখান দিয়া আমি অচেতনভাবে চলিয়া যাই নাই— ইহার স্পশাভিঘাতে আমার চিত্তবীণার সমস্ত তার অহরহ ঝঙ্কত হইয়া উঠিয়াছে। সেই ঝঙ্কারই আমাকে মন্ত্র দিয়াছে । আমার প্রাণের রাস্তা দিয়া আমার গানের সুরের ভিতর দিয়াই আমি যাহাকিছু লাভ করিয়াছি । আমার সমস্ত জীবনব্যাপী সুতীব্র সুখদু:খের পরিণতিই আজ একটি নমস্কাররূপে মাটি স্পর্শ করিল। এই জীবনের ব্যাপার যে কেমন করিয়া ঘটে সে রহস্য ত আমার জানা নাই— সেই জন্যই আমি やが○