পাতা:চিহ্ন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যেন মুক্তি পেয়েছে, স্বাধীন হয়ে গেছে দেশের আকাশে মাটিতে খনিগহ্বরে সমুদ্রে। নিশ্বাসে সে স্বাদ পায় বাতাণুের। পথের . স্পর্শ তার লাগে অন্য রকম। গায়ের সেই সভায় যেন থেমে গিয়েছিল তার মনের গতি, তারপর থেকে এত দিন যেন সে বাস করছিল সেই সভার দিনটি পৰ্যন্ত সীমা টেনে দেওয়া পুরানাে পরিবর্তনহীন জীবনে, পীড়ন পেষণ মত্যু দুনীতি হতাশার অভিশাপের মধ্যে। কিন্তু বদলে গেছে,---সব বদলে গেছে। ভেঁাতা। অন্ধকার হৃদয়ে পৰ্য্যন্ত ছড়িয়ে গেছে নতুন চেতনাস্পন্দন। জোয়ার ঢুকেছে। এদো ডোবায়। ] ক্ষতচিহ্নটা কি মিলিয়ে গেছে ? চিন্‌ চিত্র कन्नtछु ना যেন আরি। মনে দাগ কেটে কেটে লেখা পুখুটা হয়ে গেছে ঝাপূসা, অকারণ ; কেন যে এত ক্ষোভ, এত অসন্তোষ জাগিয়ে রেখেছিল সে একদিন একজনের অন্যায় করার নিয়মেরও ব্যভিচারে! ওরকম হয়। ওটা স্বষ্টিছাড়া কিছু ছিল না, । সে যেমন ভাবত । জগতে যে একা করে দেখে নিজেকে, জীবনে কােন অন্যায় না করেও সেই পারে আত্মহত্যা করতে, অন্যায়ের আত্মাগ্লানিতে সেই হতে পারে হিংস্র ক্ষ্যাপা পশু । পিছন থেকে অনায়াসে মানুষকে ছুরি মারে যে গুণ্ডা। সে শুধু ? গুণ্ডাই থাকে যতদিন না পর হয়ে যায় তার অন্য সব গুণ্ডারা, একেবারে একা না হয়ে যায়,-তখন সে হয় বিকারেরও ব্যভিচার, সয়তান মানুষ থেকে আসল সয়তান। छि : : ኀ ©ዓ