ভৃত্য বলিল,
"সে কি কথা! আমিও যে প্রমোদ বাবুকে জরুরি চিঠি দিতে যাচ্ছি, যদি দরজা বন্ধ হয়ে থাকে তো কি হবে? তুমি কি করে দিলে?”
সে ব্যক্তি বলিল, “ফটকের বাইরে যে দরোয়ান থাকে, সে আমার বন্ধু। তাকে বিশেষ ক'রে ধরায় দরজা খুলে সে চিঠি খানি একজন চাকরের হাতে দিলে, তাই রক্ষে।”
হিরণের ভৃত্য বলিল, “তবে কি আজ অন্য কারো চিঠি সে দরোয়ান প্রমোদ বাবুর কাছে নিয়ে যাবে না?
অপরিচিত বলিল, “না, তা যাবে না—”
এই কথায় ভৃত্য ভাবিতে ভাবিতে বলিল, “তবে কি করব, তবে কি ফিরে যাব? কিন্তু বাবু বলেছেন, খুব জরুরি চিঠি—একবার বাড়ী পর্য্যন্ত গিয়ে দেখেই আসি।”
সে ব্যক্তি বলিল “যাওয়া মিথ্যে, আমি তো এই আসছি। দশটার সময় তাঁদের দরজা বন্ধ হয়ে যায়।”
ভৃত্য বলিল, “তবে আজ যাই, কাল আসব।”
অপরিচিত বলিল, “এ কি বিশেষ দরকারী চিঠি? আজ কি না দিলেই নয়?”
ভৃ। বাৱু তো বলেছেন খুব দরকারী।
সে ব্যক্তি বলিল, “আহা, তবে অমনি ফিরে যাবে, তাতে তো তোমার মনীব রাগ করবেন?”
ভৃ। তা এতে আমার কি দোষ?
সে ব্যক্তি একটু দুঃখের সুরে বলিল,
মনীবরা তা বুঝলে কি আর ভাবনা থাকত? তা ত তাঁরা বোঝেন না, যত দোষ নন্দঘোষের উপর চাপান্। এই আজ যদি আমি অত কষ্ট