পাতা:জন্মভূমি (সপ্তদশ বর্ষ).pdf/৪৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&१* दई । बझl | NOGS =m L উষার সুষমা ধীর বসন্ত সমীর, • কোকিল কুজন, আর ভ্রমর ঝঙ্কার। কিম্বা নাথ! সরলতা মধুরতা নিয়া, মিশাইয়া তার সহ বিমল প্ৰণয়, সমুদয় লালিত্যের সার গলাইয়া, রচ ইচ্ছাময় তব যাহে ইচ্ছা হয়। আমরা উভয়ে নাথ ! প্ৰেমে মাতোয়ার, সেবিব চরণ তব, অনন্ত সময় ; যত কাল বিশ্ব-চক্ৰ ঘুরিবে তোমার, যত কাল রবে বিশ্ব তোমাতেই লয় । - en's লেখক-শ্ৰীঅমুল্যচরণ দত্ত । একদা মহর্ষি নারদ ও দেবাদিদেব নারায়ণ দুইজনে সান্ধ্য ভ্ৰমণে বাহির হইয়া ভ্রমণ করিতে করিতে মৰ্ত্তলোকে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। পথিমধ্যে , দুইজনে নানাপ্রকার কথোপকথনের পর মহর্ষিনারদ নারায়ণকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন, “ঠাকুর আপনি যে আমাকে বলিতেছিলেন যে, এই মৰ্ত্ত লোকের প্রত্যেক ব্যক্তি মাত্ৰেই মায়াজালে আবদ্ধ, এই মায়াজাল হইতে মুক্ত হইতে অতি অল্প সংখ্যক লোকই সক্ষম হয়। এ মায়াজাল অত্যন্ত ভয়ানক। গুটিপোকা যেমন আপনার লাল দ্বারা জাল প্ৰস্তুত করে এবং পরিশেষে আপনার জালে আপনিই আবদ্ধ হইয়া প্ৰাণত্যাগ করে। মানবেরও অবস্থা:ঠিক সেইরূপ। ঠাকুর আমি ত আপনার মায়া কিছুই বুঝি না, তবে সংসারে মায়া জিনিষটা কি একবার তা আমাকে বুঝাইয়া দিতে পারনে ?” নারায়ণ মনে মনে একটু হাস্য করিলেন ও পরে বলিলেন, “আচ্ছা তোমায় একদিন দেখাব ; যখন সময় হইবে, তখন আপনিই বুঝিবে যে মায়া কি ? তখন আর আমার কাছে বুঝিতে আসিবে না।” এইপ্ৰকারে দুইজনে কথোপকথন করিতে করিতে মহর্ষি নারদ সে বিষয় একেবারে ভুলিয়া গিয়াছেন, কিন্তু নারায়ণ ঠাকুর ভাবিতেছেন, তাই ত লোকটাকে বলিলাম, এখন