8 ayo अङ्गाष्ट्रमि ७२* १४ ।। যায় না। একটু ময়লা বলিয়া বাবুলোকে খান না। আমার তাহাতে কি আপত্তি। শাস্ত্ৰে গিরিনদীর জলের অনেক প্ৰশংসা লিখিত আছে। আর তাহ খাইয়া যখন আত্মা পৰ্য্যন্ত তৃপ্তি হয় তখন আর আপত্তি কি। পুলিস ট্রেনীংকলেজ একটা বিরাট ব্যাপার, বাঙ্গালার সমুখে পুলিস শিক্ষা হইতেছে। অনেক ছাত্র এখানে কনেষ্টবল গিরি শিখিতেছে। হিন্দুস্থানী বাঙ্গালী ঢের দেখিলাম। কোলের ছেলেরা সব পোলা ও গারত খেলিতেছে ও সভ্য হইয়াছে। প্রভূযিশু খৃষ্টের করুন। পাইয়াছে, ধুতি চাদর জুতা জামা পরিয়াছে। বিয়ে এমে পাশ করিয়াছে। ডিপুটি ও মুনসেফ হইয়াছে এক পুরুষেই ২০২২ বর্ষ মধ্যে এত উন্নত হইয়াছে। এবং যাহারা লেখাপড়া শিখিয়াছে, তাহদের নাকের ডগাটা একটু একটু উচা হইয়াছে আর তত খাদা নাই। দুইঘণ্টা কলেজে থাকিয়া বাসায় ফিরিলাম। এইখানেই ছোটলাটফুেজারেব সবিশেষ অনুগ্রহ। সরকারি সমুদয় কলেজ এখানে উঠিয়া আসিবে। প্রেসিডেন্সী কলেজ উঠিয়া আসিবার কথা হইয়াছিল । টেকনিক্যাল কলেজ হইবে। শিবপুর কলেজ যাইবে। পাগলা গারদ যাইবে আরও কত কি হইবে। গবৰ্ণমেণ্টের বিশেষ কৃপা দৃষ্টি। চতুর্থ দিবসে মধ্যাঙ্কে কোলের নােচ দেখিলাম। ইহা এক নূতন ও অদ্ভুত দৃশ্য। স্থানীয় ভাষায় “কোল যাত্ৰা” বলে। এখানে প্ৰতিবৎসর শুক্লা কাৰ্ত্তিক ষষ্টীতে এই কোলের নাচ হয়। স্থানীয় অধিবাসী কোলেরা - কৃষ্ণবৰ্ণ খাদা অসভ্য জাতি। তাহারা ঐ তারিখে প্রতি বৎসর “ঘট” পুজা উপলক্ষে সপরিবারে নৃত্য করে। এতৎ উপলক্ষে আট দশ ক্রোশ দূর হইতে কোলগণ সহরে আসে এবং কমিসনরের কাছারির সম্মুখে এবং তাহদের উপস্থিতেই নৃত্য করে। এবং সাহেবগণ এই নৃত্য বড়ই পছন্দ করেন। মধ্যাহে কাছারির দিকে গিয়াই দেখিলাম, বড় বড় “কণ্টিী”-নিশান উড়িতেছে। কোলগণ। দলে দলে সহরে আসিতেছে। মরদ মরদী বালক ৰালিকা সকলেই নানা বেশে ভূষিত হইয়া আসিতেছে, তাহাদের খুব আনন্দ ও উৎসাহ দেখিলাম। তাহদের বসন ও ভূষণ সব একাকার। স্ত্রীগণের পরিধানে লাল ডোরা দেওয়া জেলার সাড়ী।। তাহা দ্বারাই পৰ্যন্ত আবৃত বক্ষস্থল ও কটিদেশ আবদ্ধ। মস্তকের খোপাগুলিতে হরিদ্র্যাবর্ণ পুষ্প । কোল রমণীবৃন্দের খোপায় বগের পাখার ঝুটি লাল রংঙ্গ করা এক হস্ত
