পাতা:জপজী - গুরু নানক.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( d R ) হস্তে দিয়া যান নাই ; পরন্তু তাহার প্ৰিয়-শিষ্য মহাত্মা অঙ্গদকে দ্বিতীয় গুরু নির্দেশ করিয়া যান। ইহাতে র্তাহার পুত্ৰগণ বিশেষ ক্ষুন্ন হইয়াছিলেন। নানক ইহা বুঝিতে পারিয়া, আশ্চৰ্য্য উপায়ে তাহার পুত্ৰগণকে এ বিষয়ে এক শিক্ষা দিয়াছিলেন। একদিন তিনি তঁহার পুত্রদ্বয়, শিষ্য অঙ্গদ ও অন্যান্য ভক্তমণ্ডলী সমভিব্যাহারে রাভী-নদীতীরে ভ্ৰমণ করিতেছিলেন। নদীতীরে একস্থানে একটি মৃতদেহ পতিত দেখিয়া, নানক তাহার জ্যেষ্ঠ পুত্রকে বলিলেন, “পুত্ৰ, এই মৃতদেহটি ভক্ষণ কর।” পুত্র অবাক হইয়া পিতার মুখের দিকে চাহিয়া রহিলেন। তাহাকে নিৰ্বাক দেখিয়া, নানক পুনঃ পুনঃ ঐ মৃতদেহ ভক্ষণ করিবার জন্য পুত্রকে আদেশ করিতে লাগিলেন। তখন পুত্ৰ বলিলেন, “পিতঃ, আপনার কি মস্তিষ্ক বিকৃত হইয়া উঠিল ?—নতুবা কি প্রকারে আমাকে একটা পচা দুৰ্গন্ধময় মৃতদেহ ভক্ষণ করিতে বলিতেছেন ?” পিতা ঈষৎ হাসিয়া র্তাহার দ্বিতীয় পুত্রকে ঐ প্রকার আদেশ করিলেন। তিনিও পিতাকে উন্মাদ স্থির করিয়া নীরব হইয়া রহিলেন। তখন মহাপুরুষ, শিষ্য অঙ্গদকে বলিলেন, “অঙ্গদ, এই মৃতদেহ ভক্ষণ কর।” গুরুগতপ্ৰাণ ভক্ত-শিরোমণি অঙ্গদ, যোড়হস্তে তৎক্ষণাৎ বলিলেন, “প্রভো, কোন দিক হইতে আরম্ভ করিব, পুয়ের দিক হইতে কি মাথার দিক হইতে ?” ভক্তের পরীক্ষণ তখনও শেষ হয় নাই। গুরুজী গম্ভীরভাবে বলিলেন, “মাথার দিক হইতে আরম্ভ কর।” অঙ্গদ তৎক্ষণাৎ ঐ মৃতদেহের নিকটবৰ্ত্তী হইয়া পরম পরিতৃপ্তির সহিত উহা ভোজনে প্ৰবৃত্ত হইলেন। তখন সবিস্ময়ে সকলে দেখিলেন, যাহাকে তাহারা মৃতদেহ অনুমান করিয়াছিলেন, উহা মৃতদেহ নহে, এক রাশি হালুয়া মৃতদেহ আকারে পতিত রহিয়াছে। মহাত্মা গুরু নানক অন্তহিত হইয়াছেন, কিন্তু তঁহার সনাতন ও সুবিমল গুরু-মুখী ধৰ্ম্ম এখনও বৰ্ত্তমান রহিয়াছে। শিখদিগের আদিগ্ৰস্তু