পাতা:জমীদার দর্পণ নাটক.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জমীদার দর্পণ নাটক

মোল্লা প্রজা। আসামী হায়ওয়ান আলী-জমীদার। প্রজা মোল্লার স্ত্রীকে বলপূৰ্ব্বক ধরিয়া আন, বলাৎকার করিতে থাকা ও তদ্‌হেতু মিত্যু হওয়ার প্রমাণ হইয়াছে। আর সেই জমীদার, জমীদার, সেই জমীদার অাসামী অার কয়েক জন অাসামীকে সঙ্গে করিয়া প্রাণ ভয়ে কোথায় পালিয়েছে তার সন্ধান মাত্র নাই। ইহাতে পষ্ট জানাযাইতেছে যে আসামীগণ সম্পূর্ণ রূপে দোষী ও অপরাধী। ধৰ্ম্মাবতার। খোদাবন্দ! হায়ওয়ান আলী (থু থু ফেলিয়া থুবড়ি) হায়ওয়ান আলী খা জমীদার। মপস্বলে প্রজার হর্ত্তা কৰ্ত্তা মালিক জমীদার। তাদের আদালত ফৌজদারী জমীদারই নিম্পত্য করিয়া থাকে – প্রজার পরস্পর বিবাদ নিম্পত্য হ’ক্‌ বা নাহক্‌ আপন নজরের টাকা হ’লেই হ’লো। প্রজারা শাসন ভয়ে মুখে কথা নাই, জমীদার যা বলেন্‌ কোন মতেই তার অবাধ্যি হ’তে পারে না। জমীদারের অজানিতে কোন মতেই প্রজা বিচারের প্রার্থনায় আদালত আশ্রয় করিলে তখন জমীদার একেবারে অগ্নি-মুৰ্ত্তি হয়ে তার ভিটে মাটী একেবারে জালিয়ে ছার খার করে। অার ইহাও অপ্রকাশ নয় যে—

মাজি। চুপ চুপ আসল কথা বল—

মোক্তা । খোদাবন্দ ধৰ্ম্মাবতার এই মোকদমায় জমীদার স্বয়ং আসামী সুতরাং প্রমাণ হওয়াই দায় ।