পাতা:জয় পরাজয় - পাঁচকড়ি দে.pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জয় পরাজয় dRÒ শৈশবেই মাতৃ-পিতৃহীন হইয়াছি। নীলরতন বাবুই আমাকে মানুষ করিয়াছেন । পিতা যাহা রাখিয়া গিয়াছেন, তাহাতে আমি কোন কাজকৰ্ম্ম না করিলেও ভদ্রলোকের মত আমার চলিয়া যাইবে ; বিশেষতঃ নীলরতন বাবুর সুবন্দোবস্তে আমার বিষয়-সম্পত্তি অনেক বুদ্ধি পাইয়াছে, সুতরাং তিনি ব্যতীত আমার অন্য কাহারই মুখাপেক্ষা করিয়া নিজেকে চির দুঃখী করা মূখত ভিন্ন আর কিছু নহে , আর আমি জানি নীলরতন বাবু এ বিবাহে কখনই আপত্তি করিবেন না । ডাকাতের কথা ভুলিয়া গিয়া আমি সমস্ত রাত্রিই এই সুখের চিন্তা করিতে লাগিলাম ভোরে নিদ্রা আসিল-কখন আমি ঘুমাইয়া পড়িয়ছিলাম, তাহা আমার মনে নাই। সহসা কাহার চীৎকার-শব্দে আমার নিদ্রাভঙ্গ হইল আমি চমকিত হইযা উঠিয়া বসিলাম। কোথায় শুইয়াছিলাম, প্ৰথমে কিছু বুঝিতে পারিলাম না ; পরে দেখিলাম, আমি গঙ্গার উপরে নৌকায় রহিয়াছি ; ত%ন গত রাত্রের সমস্ত কথা মনে পড়িল ; আমি দেখিলাম, ফতে আলি দারোগী ঘাটে দাড়াইয়া আমাকে ডাকিতেছেন ; চারিদিকে বেশ রৌদ্র উঠিযাছে, বেলাও বোধ হয়, আটটা হইয়াছে । আমি নৌকার বাহিরে আসিলাম । তিনি বলিয়া উঠিলেন, “ব্যাপার কি ? তোমার জন্য আমাকে পাগল হ’তে হবে দেখছি " আমি নৌকা হইতে নামিয়া তাহার নিকটে আসিলাম ; তাহাকে একান্তে আনিয়া বলিলাম “ডাকাতি সম্বন্ধে কিছু সন্ধান পাইয়াছি, তাহাই আপনাকে ডাকিয়া পঠাইয়াছিলাম।” তিনি বলিলেন, “কি ? দ্বন্ধান বল, তুমি না থাকিলে এ ডাকাতি আমি এতদিন জাহান্নামে দিতাম।” আমি বলিলাম “তাহা ত দিতেন, কিন্তু ডাকাত আপনাকে নিশ্চিন্ত থাকিতে দেয় কই ?”