পাতা:জয় পরাজয় - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জয় পরাজয় ᏚᏭ Ꮔ “আপনাকে আমরা এখনই হুগলীর হাসপাতালে লইয়া যাইতেছি ।” “কিছু হবে না, অনৰ্থক কষ্ট্রের আবশ্যক কি ?” তাহার পর মনিয়া মানহাসি হাসিয়া বলিল, “ডাকাতকৈ ‘আপনি’ কেন ৮ এখন আমি সেই ঘোড়সোয়ার ডাকাত-এখন “আপনি” নয়, যখন মনিয়া বাইজী-তখন “আপনি ছিলাম।” এই সময়ে অমূল্য পান্ধী লইয়া উপস্থিত হইল ; আমরা অতি যত্নে তাহাকে ধরাধরি করিয়া পান্ধীর ভিতরে শোয়াইয়া দিলাম । বুঝিলাম, এই নাড়াচাড়াতে তাহার দারুণ যন্ত্রণা হইল ; কিন্তু সে ওষ্ঠে ওষ্ঠে পেষিত করিয়া রহিল, মুখ হইতে যন্ত্রণাসূচক কোন শব্দ বাহির হইতে দিল না । পান্ধীতে তুলিয়া দিলে সে কেবলমাত্র বালল, “আমার ঘোড়া ?” আমি বলিলাম, “সে মরিয়াছে ।” মনিয়া আর কোন কথা কহিল না ; পান্ধা চলিল ; আমরাও পাস্কার সঙ্গে সঙ্গে ছুটিয়া চলিলাম । প্ৰায় রাত্রি একটার সময়ে আমরা হুগলীর হাসপাতালে আসিয়া উপপ্তিত চাইলাম ; সংক্ষেপে ডাক্তারকে সকল কথা বলিলাম । তৎপরে মনিয়াকে হাসপাতালে র খটায় শায়িত করা হইলে । ডাক্তারগণ তাহার চিকিৎসায় নিযুক্ত হইলেন । আমি তৎক্ষণাৎ পুলিসে সংবাদ পাঠাইলাম ; ফতে আলিকে সংবাদ পাঠাহবার জন্য চন্দননগরেও লোক ছুটিল। আমি পুলিস-ইনস্পেক্টরকে বলিয়া চার-পাঁচজন চোকীদারকে ঘোড়াটার পাহারায় পঠাইয়া দিলাম। আমরা দুইজনে বাহিরে বসিয়া ছিলাম। প্ৰায় আধঘণ্টা পরে ডাক্তার বাহির হইয়া আসিলেন । আমি ব্যগ্ৰ হইয়া তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “কিরূপ দেখিলেন ?”