পাতা:জয় পরাজয় - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জয় পরাজয় Σ8 Σ একটা ঘটার তলায় সঙ্কেতে লিখিয়া আসিবে যে, কোথায় জহরত পোতা আছে । আমি মাড়োয়ারী ফিরিওয়ালা সেজে চটীতে গিয়ে ঘটির নীচে দেখিয়া জহরত লইয়া আসিব । তুমি যে বাইজী সে-ই বাইজ’ হইয়া যাইকে-কাহারও বাবার সাধ্য নাই যে, তোমাকে সন্দেহ করে ।” অ্যামি ত শুনেই অবাক ' ” মনিয়ার কথা শুনিয়া হাবড়ার ডাকাতির পরদিনের কি : আমার মনে পড়িল ; আমি এখন বুঝিলাম যে, মনিয়া রাত্ৰিতে ডাকাতি করিধ্যা প্ৰাতে বাইজী সাজিয়া, পান্ধী করিয়া কলিকাতা ফিরিতেছিল। এখন বুঝিলাম, সে পূদ্র চাইতেই জানিত যে, আমি রাসমণিকে কলিকাতায় আনিতেছি, সেইজন্যই ইচ্ছা করিয়া দাইকে গঙ্গার ঘাটে পাঠাইয়াছিল- সকলই পূৰ্ব্ব হইতে বন্দোবস্ত । আমি গুহার বিন্দুমাত্র কিছুই বুঝিতে পারি নাই । মনিয়া বলিতে লাগিল, “আমি প্রথমে কিছুতেই তাহার এ কাপাধ রাজী হইলাম না ; তখন সে আমাদের পুলিসে ধরাইয়া দিতে প্ৰতিজ্ঞা করিল-পুলিসে ধরাইয়া দিলে আমি যাহাকে ভালবাসি, তাতার ফ্ৰাসী হইবে, আমারও দ্বীপান্তর হইবে । দুরত্ব ভিকরাজ বিদ্রুপ কৰিয়া সপবদাই এ কথা বলিতে লাগিল । শেষে আমি বাধ্য হইয়া বাঙ্গালাদেশে আসিয়া ডাকাতি করিতে রাজী হইলাম । তাছার পর সে যেখানে আমাকে পাঠাইয়াছে, সেইখানে লোচনাও দল লইয়া ডেরা ফেলিয়াছে ; আমাকে ঘোড়া আনিয়া দিয়াছে-এই--এই—পিয্যন্ত ?” মনিয়া চক্ষু মুদিত করিল, তাহার মুখ নিমেষের জন্য বিবৰ্ণ চহয়া গেল ; তৎপরে তাহার মুখে অপরূপ সৌন্দৰ্য্য ও জ্যোতিঃ প্ৰকাশ পাইল । ডাক্তার সত্বর গিয়া তাহার কপালে হাত দিলেন-বুকে হাত দিলেন - নাড়ী দেখিলেন, তৎপরে ফিরিয়া বলিলেন, “হইয়া গিয়াছে।” আমরা অতি বিষন্নচিত্তে হাসপাতাল হইতে বহিৰ্গত হইলাম। এরূপ