পাতা:জয় পরাজয় - পাঁচকড়ি দে.pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ଔଷ୍ଟ ?tଅଷ୍ bord ফতে আলি ক্ৰোধে গৰ্জিয়া বলিলেন, “বদমাইস, এখনও আমায় চেন f፭ |” ভিকরাজ বলিল, “কি বলিব ?” ফতে। কোন মহাপ্ৰভু এ মতলব বে'র করেছিল ? ভিক। মতলব আমার-স্বীকার করিতেছি । ফতে । ডাকাতি করে কে ? ভিকরাজ কথা কহিল না। ফতে আলি চীৎকার করিয়া বলিলেন, “বেটী চোর, বল, এই ডাকাত কে স” তবুও ভিকৃরাজ কথা কহিল না । আমি দেখিলাম, দারোগা সাহেব রাগে উন্মত্তপ্ৰায় হইয়াছেন । তখনকার পুলিস, এখনকার পুলিস অপেক্ষা কি ভয়ানক ছিল, তাহা বলা যায় না। আমি ভিকরাজকে রক্ষা করিবার জন্য বলিলাম, “ভিক্রাজ, আমরা সব জানিয়াছি, লোচন যে তাহার সাদা ঘোড়ার রং করিয়া দি ত, তাহাও আমরা জানি । এখন গালমাল না ক’রে সেই রং করা ঘোড়ায় চ’ড়ে কে ডাকাতি করিত, তাহাই বল ; কেন মারি খাইয়া মরিবে। y” ফতে আলি গজ্জিয়া বলিলেন, “কেবল মার! হাঁড় এক জায়গায়, মাস এক জায়গায় করিয়া ছাড়িব । শালাকে মালখানায় নিয়ে যা ত ” মালখানায় সে সময়ে আসামীর উপরে কি ভয়াবহ পীড়ন হহত, তাহা বৰ্ণনার প্রয়োজন নাই ; অনেক সময়ে অনেক আসামীর অদৃষ্টে মালখানা ত্যাগ করিয়া বাহির হওয়া ঘটিয়া উঠিত না । ভিকৃরাজ মালখানা কি বেশ জনিত ; সে বলিয়া উঠিল, “যখন ধরা পড়িয়াছি তখন আর উপায় কি ? লোচন ডাকাতি করিত। সে ডাকাতি ক’রে ঘোড়ায় চ’ড়ে পলাইত, এক জায়গায় গহনাগুলো পুতে রেখে যেত ।