পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NOO-Catata-etro Nò YF - F rygg SLSLSLSL LSLSLSL SLSLSLSLSLSL LSL LLLLL LLLLLLLLSLLLLLLLS LqLMLSSL S LSSS একদিন বোধিসত্ত্ব বৰ্ত্তকদিগকে বলিলেন, “দেখ, এই শাকুনিক আমাদের জ্ঞাতিবন্ধু দিগকে নিমূল করিতে বসিয়াছে। আমি একটা উপায় জানি ; তাহ অবলম্বন করিলে সে আমাদিগকে ধরিতে পরিবে না। এখন হইতে তোমাদের উপর জাল ফেলিবা মাত্র তোমরা প্ৰত্যেকে জালের ছিদ্ৰ দিয়া মুখ বাহির করিবে এবং সকলে মিলিয়া জাল শুদ্ধ উড়িয়া গিয়া ইচ্ছামত স্থানে কণ্টকগুন্মের উপর অবতরণ করিবে।” এই প্ৰস্তাব উত্তম বলিয়া সকলেই তদনুসারে কাজ করিতে সম্মত হইল । পরদিন শাকুনিক জাল ফেলিল; কিন্তু বৰ্ত্তকেরা বোধিসত্ত্বের উপদেশানুসারে জাল লইয়া উড়িয়া গেল এ ॥ং উহা এক কণ্টক গুন্মে আবদ্ধ করিয়া নিজের নিম্নদেশ হইতে"। পলাইয়া গেল। ঐ গুল্ম হইতে জাল উদ্ধার করিতে শাকুনিকের সমস্ত দিন কাটিয়া গেল। সে সন্ধ্যার সময় রিক্তহস্তে গৃহে ফিরিল । ইহার পর প্রতিদিনই বৰ্ত্তকের এইরূপ করিতে লাগিল ; শাকুনিকও সুৰ্য্যাস্ত পৰ্যন্ত জাল-মোচন ব্যাপারে নিরত থাকিয়া সায়ংকালে রিক্তহস্তে গৃহে ফিরিতে লাগিল। ইহাতে শাকুনিকেরু ভাৰ্য্যা কুপিত হইয়া বলিল, “তুমি রোজই খালি হাতে ফের ; অন্য কোথাও বুঝি তোমার পোষ্য কোন লোক আছে ?” শাকুনিক বলিল, “ভদ্র, আমার অন্য কোথাও গোষ্য নাই; ব্যাপারটা কি শুন । বৰ্ত্তকেরা এখন এক সঙ্গে মিলিয়া মিশিয়া চলিতেছে ; আমি যেমন উহাদের উপর জাল ফেলি, অমনি উহার তাহা লইয়া কণ্টকগুলোর উপর উড়িয়া পড়ে ও সেখানে জাল আটকাইয়া নিজেরা পলাইয়া যায়। তবে ভরসার মধ্যে এই যে চিরদিন কিছু উহাদের মধ্যে এমন একতা থাকিবে না ; উহারা যখনই কলহ আরম্ভ করিবে তখনই সবগুলাকে ধরিয়া আনিয়া আবার তোমার মুখে হাসি দেখিতে পাইব।” ইহা বলিয়া সে নিম্নলিখিত গাথা বলিল :- থাকিয়া সম্প্রীত ভাবে বিহঙ্গমগণ, জাল তুলি অনায়াসে করয়ে গমন। কলহ-নিরত কিন্তু হবে যে সময়, তখন আমার বশে আসিবে নিশ্চয় । ইহার পর একদিন বিচরণ-স্থানে অবতরণ করিবার সময় একটা বৰ্ত্তক না দেখিয়া হঠাৎ আর একটা বৰ্ত্তকের মাথার উপর পড়িল। ইহাতে ক্রুদ্ধ হইয়া শেষোক্ত বৰ্ত্তক জিজ্ঞাসা করিল, “কে আমার মাথায় পা দিল.রে ?” প্ৰথম বৰ্ত্তক কহিল, “ভাই, হঠাৎ অন্যায় করিয়া ফেলিয়াছি; তুমি রাগ করিও না।” কিন্তু এই উত্তর শুনিয়াও দ্বিতীয় বৰ্ত্তকের ক্ৰোধোপশম হইল না। কাজেই দুইজনে কথা কাটাকাটি করিতে লাগিল এবং “বড় যে আস্পদ্ধা দেখিতেছি । বোধ হয় তুমি একাই জাল লইয়া উড়িয়া যাও!” এই বলিয়া পরস্পরকে বিদ্রুপ করিতেও ছাড়িল না। তাহ দেখিয়া বোধিসত্ত্ব ভাবিলেন, “যে কলহপ্ৰিয়, তাহার সঙ্গে থাকিলে ভদ্রস্থত নাই ; দেখিতেছি এখন হইতে আর ইহারা জাল লইয়া উড়িবে না, কাজেই শাকুনিক অবকাশ পাইবে, ইহাদেরও সৰ্ব্বনাশ হইবে। অতএব এখানে থাকা কৰ্ত্তব্য নহে।” ইহা স্থির করিয়া তিনি নিজ পরিজনবৰ্গসহ অন্যত্ৰ প্ৰস্থান করিলেন। বোধিসত্ব যাহা ভাবিয়াছিলেন, ঠিক তাহাই ঘটিল ; শাকুনিক কয়েক দিন পরে আবার সেখানে উপস্থিত হইল, বৰ্ত্তকদিগের রবের অনুকরণ করিয়া তাহাদিগকে প্ৰথমে একস্থানে সমবেত করিল এবং পরে তাঁহাদের উপর জাল ফেলিয়া দিল। তখন একটা বৰ্ত্তক আর একটাকে বলিল, “শুনি নাকি জাল তুলিতে তুলিতে তোমার মাথার লোম উঠিয়া গিয়াছে ; এখন একবার ক্ষমতার পরিচয় দাও না ?” দ্বিতীয় বৰ্ত্তক উত্তর দিল, “আমি তা শুনিতে পাই । জল লইয়া যাইতে যাইতে তোমার পক্ষ দুইখানি পালক শূন্য হইয়াছে; এখন তবে তুমিই জাল তুলিয়া লইয়া যাও না।” এইরূপে যখন বৰ্ত্তকের পরস্পরকে জাল তুলিবার জন্য বলিতে লাগিল, তখন শাকুনিক