পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8०-थद्रिांत्रांद्र-ख्रांऊक । bra) দ্বারা দন্তধাবন করিলেন, অনবতপ্তদ্রুহে * মুখ প্ৰক্ষালন করিলেন, মনঃশিলাতলে দণ্ডায়মান হইলেন, কটিবন্ধ গ্ৰহণ করিলেন, চীবর পরিধান করিলেন এবং যোগবলে মৃন্ময়পাত্ৰ আহরণপুৰ্ব্বক, যখন বোধিসত্ত্বের প্রাতরাশের জন্য নানাবিধ উপাদেয় ও মুখরুচিকর খাদ্য আনীত হইতেছিল, ঠিক সেই সময়ে আকাশপথে তঁহার দ্বারদেশে উপনীত হইলেন। তাহাকে দেখিবামাত্র বোধিসত্ত্ব আসন হইতে উখিত হইয়া পার্শ্বস্থ ভূত্যের দিকে দৃষ্টিপাত করিলেন ; ভূত্য কহিল, “আমায় কি করিতে হইবে আদেশ করুন।” বোধিসত্ত্ব বলিলেন, “আৰ্য্যের হস্ত হইতে ভিক্ষাপাত্ৰ লইয়া আইস ।” gy তন্মুহুর্তেই পাপিষ্ঠ মারি নিতান্ত ব্যস্ত ও উদ্বিগ্ন হইয়া উঠিল। সে ভাবিল, “এই প্ৰত্যেকবুদ্ধ সপ্তাহকাল কিছুই ভক্ষণ করে নাই ; আজ যদি অনাহারে থাকে তাহা হইলে নিশ্চিত মারা যাইবে । অতএব শ্রেষ্ঠী যাহাতে ইহাকে খাদ্য দিতে না পারে তাহার ব্যবস্থা করিতে হইবে।” এই সঙ্কল্প করিয়া দুরাত্মা তখনই মায়াবলে বোধিসত্ত্বের গৃহে অশীতি হস্ত বিস্তৃত এক প্ৰকাণ্ড কুপ আবির্ভাবিত করিয়া উহা প্ৰজ্বলিত খিদিরাঙ্গারে পুর্ণ করিয়া রাখিল । উহা হইতে এমন ভীষণ জ্বালার উৎপত্তি হইল যে বোধ হইল সেখানে আবীচির আবির্ভাব হইয়াছে। এই কুপ সমাপ্ত হইলে মার আকাশে বসিয়া রহিল। " এ দিকে যে ভৃত্য প্ৰত্যেক-বুদ্ধের হস্ত হইতে ভিক্ষাপাত্ৰ আনিতে যাইতেছিল সে ঐ কূপ দেখিয়া অত্যন্ত ভীত হইল, এবং বোধিসত্ত্বের নিকট ফিরিয়া গেল। বোধিসত্ত্ব জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি ফিরিলে কেন, বাপু ?” সে কহিল, “প্ৰভু, পথে এক ভয়ঙ্কর জলদঙ্গারপুর্ণ কুপের আবির্ভাব হইয়াছে ; তাহার এমন ভীষণ জ্বালা যে অগ্রসর হওয়া অসম্ভব।” তাহার পর অন্যান্য ভূত্যেরাও যাইতে চেষ্টা করিল, কিন্তু অগ্নিকুণ্ড দেখিয়া এত ভয় পাইল যে তাহারা ছুটিয়া পলায়ন করিল। তখন বোধিসত্ত্ব চিন্তা করিলেন, “আজি কুটকৰ্ম্ম মার আমার দানের অন্তরায় হইয়াছে। কিন্তু দেখিতে হইবে, শত, সহস্ৰ মারেও আমাকে কিরূপে সঙ্কল্পচু্যত করিতে পারে। দেখিতে হইবে কাহার ক্ষমতা অধিক, আমার না মারের।” অনন্তর পাশ্বে যে অন্নপাত্র ছিল তাহাই হাতে লইয়া তিনি নিজে গৃহ হইতে নিস্ত্ৰান্ত হইয়া অগ্নিকুণ্ডের ধারে উপনীত হইলেন, এবং উৰ্দ্ধদিকে দৃষ্টিপাতপূর্বক মারকে দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “কে হে তুমি ?” “আমি মাের।” “তুমিই কি এই প্ৰজ্বলিত অঙ্গারকুণ্ড প্ৰস্তুত করিয়াছ ?” “হঁ, আমিই করিয়াছি।” “কেন করিলে?” “তোমার দানে বাধা দিবার জন্য এবং এই প্ৰত্যেক-বুদ্ধের জীবননাশের জন্য।” “আমি তোমাকে দানে বাধা দিতে দিব না, এই প্ৰত্যেকবুদ্ধের জীবনও নাশ করিতে দিব না। আজ দেখিতে হইবে আমাদের মধ্যে কাহার প্রভাব অধিক, তোমার না। আমার ।” অনন্তর বোধিসত্ত্ব কুণ্ডের ধারেই দণ্ডায়মান হইয়া বলিলেন, “ভগবন প্ৰত্যেক-বুদ্ধ, এই কুণ্ডের মধ্যে অধঃশিরে পড়িতে হয় তাহাও স্বীকাৰ্য্য, তথাপি আমি ফিরিয়া যাইব না। আমার কেবল এই প্ৰাৰ্থনা আপনার জন্য যে ভোজ্য আনিয়াছি তাহা গ্ৰহণ করুন।” অনন্তর তিনি এই গাথা বলিলেন, ঃ- t উৰ্দ্ধপাদে অধঃশিরে নরকে পতনসেও ভাল ; মন যেন তবু নাহি ধায় कथन(७) ख्थनर्षoicथ, उखि पानबड । অতএব দয়া করি লও প্ৰভু, তুমি qझे उठन्का cख्छख्], यछि 4gनछि यऊ८न । হউক সার্থক আজি দাসের জীবন । mബത്തു

  • অনবতপ্তদ্রুহ-হিমালয়স্থ হ্রদ বিশেষ ; ইহার জলের বিচিত্র শক্তি সম্বন্ধে বৌদ্ধগ্রন্থে অনেক উল্লেখ

দেখা যায় । ‘দ্ৰাহ’ শব্দ হইতে বাঙ্গালা ‘দহ’ হইয়াছে। > R