পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫১-মহাশীল।বজ-জাতক । Ә о. N

fi g অমাত্যগণ “যে আজ্ঞা” বলিয়া দ্বাদশযোজন ব্যাপী বারাণসী নগরের সর্বত্র ভেরী বাজাইয়া এই আদেশ প্রচার করিলেন। তাহা শুনিয়া সকলেই সর্ববিধ দুঃশীল কৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিল। বোধিসত্ব যতদিন রাজত্ব করিয়াছিলেন, ততদিন তঁাহার প্রজাদিগের মধ্যে কাহাকেও দুঃশীলতা- ? পরাধে অপরাধী হইতে দেখা যায় নাই।” এইরূপে বোধিসত্ত্ব কাহাকেও কোনরূপ দণ্ড না দিয়া সমস্ত প্ৰজাকে শীলবান করিয়াছিলেন। তিনি নিজেও দানাদি পুণ্যকৰ্ম্মের অনুষ্ঠান করিতেন এবং দেহান্তে পারিষদবৰ্গসহ দেবনগরে গমন করিয়াছিলেন। SBBDDDDSTBDB BDBD BBDD BBB DtBDD DBDKK gDD DBDBB DDD DDDDDB ব্ৰহ্মদত্তকুমার । 豪

  • c৫১-মহাশীলনবজ-জাতক।

[শান্ত জেতবনে কোন বীৰ্য্যভ্ৰষ্ট ভিক্ষুকে লক্ষ্য করিয়া এই কথা বলিয়াছিলেন। শাস্তা জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি নাকি নিরুৎসাহ হইয়াছ ?” ভিক্ষু উত্তর করিল, “হঁ। ভগবন।” “সে কি কথা ? এরূপ নিৰ্বাণপ্ৰদ শাসনে থাকিয়াও তুমি উৎসাহহীন হইলে ! প্ৰাচীনকালে পণ্ডিতের রাজ্যভ্রষ্ট হইয়াও অদম্য উৎসাহব্বলে প্ৰনষ্টসৌভাগ্য পুনলাভ করিয়াছিলেন।” অনন্তর শাস্তা সেই অতীত কথা বলিতে আরম্ভ করিলেন :- ] d পুরাকালে বারাণসীরাজ ব্ৰহ্মদত্তের সময়ে বোধিসত্ত্ব রাজমহিষীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন। নামকরণের সময় তাহার “শীলবান কুমার” এই নাম হয়। ষোড়শ বৎসর বয়সের সময়েই তিনি সৰ্ব্ববিদ্যায় সুশিক্ষিত হন এবং পিতার মৃত্যুর পর রাজপদে প্রতিষ্ঠিত হইয়া যথা ধৰ্ম্ম প্ৰজাপলিনপূর্বক “মহাশীলবান রাজা” এই নামে প্ৰসিদ্ধি লাভ করেন। তিনি নগরের চতুদ্বারে চারিটীি, মধ্যভাগে একটী এবং প্রাসাদের পুরোভাগে একটা দানশালা স্থাপিত করিয়া অনাথ ও আতুরদিগকে অন্ন বিতরণ করিতেন। তিনি শীলপরায়ণ এবং দয়াক্ষান্তিমৈত্রীপ্ৰভৃতি গুণসম্পন্ন ছিলেন, উপোসথাদি ব্ৰতপালন করিতেন এবং অপত্যনির্বিশেষে সৰ্ব্বভুতের পরিতোষ সাধন করিতেন । রাজা মহাশীলবানের এক অমাত্য অন্তঃপুরনিবাসিনী এক রমণীর সহিত অবৈধ প্ৰণয়ে আবদ্ধ হইয়াছিলেন। এই কথা রাষ্ট্র হইয়া ক্রমে রাজার কর্ণগোচর হইল। রাজা অনুসন্ধান করিয়া দেখিলেন অমাত্যের অপরাধ সম্বন্ধে কোন সন্দেহ নাই । তখন তিনি তঁহাকে ডাকাইয়া বলিলেন, “মুঢ়া! তুমি অতি গৰ্হিত কাৰ্য্য করিয়াছ ; অতএব তোমাকে এ রাজ্যে আর থাকিতে দেওয়া কৰ্ত্তব্য নহে। তুমি স্ত্রীপুত্র ও ধনসম্পত্তি লইয়া অন্যত্ৰ প্ৰস্থান কর।” কাশী হইতে এইরূপে নিৰ্বাসিত হইয়া উক্ত অমাত্য কোশল রাজ্যে গমন করিলেন এবং কালক্রমে তন্ত্ৰত্য রাজার পরম বিশ্বাসভাজন হইলেন। একদিন তিনি কোশলরাজকে বলিলেন, “মহারাজ, কাশীরাজ্য, মক্ষিকাবিহীন মধুচক্রসদৃশ ; তন্ত্ৰত্য রাজার প্রকৃতি আতি মৃত্ব; সামান্য সেনােবল লইয়াই এ রাজ্য অধিকার করিতে পারা যায়।” এই কথা শুনিয়া কোশলরাজ ভাবিলেন, “কাশী একটী বিস্তীর্ণ রাজ্য ; অথচ এ ব্যক্তি বলিতেছে, অতি অল্প সেনাবলেই ইহা অধিকার করিতে পারা যায়। এ তবে কোন গুপ্তচর নাকি ?’ অনন্তর তিনি ঐ নির্বাসিত অমাত্যকে বলিলেন, “আমার বোধ হইতেছে তুমি কাশীরাজের গুপ্তচর।” “মহারাজ ! আমি গুপ্তচর নহি ; আমি সত্য কথাই বলিয়াছি; যদি প্ৰত্যয় না করেন তবে কাশীরাজ্যের কোন প্ৰত্যন্তগ্রামবাসীদিগের প্রাণসংহারার্থ লোক প্রেরণ করুন ; দেখিবেন এই সকল লোক ধূত হইয়া কাশীরাজের নিকট নীত হইলে, তিনি ইহাদিগকে দণ্ড দেওয় ह्रज्ञ थांबूक, बब्रश श्रन ब्रिा दिनांब्र कब्रिग्बन ।” ན་ বাঁচালিত); ত্ৰিবিধ মনঃকৰ্ম্ম ( অভিধ্য অর্থাৎ তুষ্ণা বা লোভ, ব্যাপদ অর্থাৎ ক্ৰোধ, মিথ্যাদৃষ্টি )। অথবা দশ অকুশলকৰ্ম্ম বলিলে দান, শীল, ভাবনা ইত্যাদি দিশপুণ্যকৰ্ম্মের বিপরীতানুষ্ঠানও বুঝাইতে পারে।