পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫১-মহাশীল।বজ-জাতক। SYY sesss " پیچھےچھی تھی؟ al ·ssy محمحيط چمتحد"محمحکمحم qLALMMAALALAAMLeLSeAMLMLSSS SSS LLLL AA AeAeALS AAALMMASLLALS SAAAALAS eeLMMLMS AAM eqS ASAeLAL A eAM eM SASASA SiS SeLeLS LMLSeLLSLAL LSLe LeSeSLSLMLLeAMMeAeL এই নিষ্ঠুর আজ্ঞা শিরোধাৰ্য্য করিয়া কাশীরাজ ও র্তাহার অমাত্যদিগকে পিঠামোড়া করিয়া বান্ধিয়া লইয়া গেল । এত অত্যাচারেও কাশীরাজের মনে চোররাজের প্রতি কোনরূপ ক্ৰোধের উদ্রেক হইল না। র্তাহার পার্শ্বচরগণও এমন সুবিনীত ছিলেন যে শৃঙ্খলাবদ্ধ হইয়াও র্তাহাদিগের মধ্যে কেহই প্ৰভুর ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন কথা বলিলেন না। চোররাজের ভূত্যেরা তঁহাদিগকে শ্মশানে লইয়া গেল ; সেখানে গর্ত খনন করিয়া মধ্যভাগে রাজাকে এবং উভয় পার্শ্বে অমাত্য দিগকে আকণ্ঠ মৃত্তিকায় প্রোথিত করিল এবং গৰ্ত্তের মধ্যে মাটি ফেলিয়া এমন করিয়া পিটল যে কাহারও নড়িবার চড়িবার সাধ্য রহিল না। এ অবস্থাতেও শীলবান রাজার মনে চোররাজের উপর অণুমাত্র ক্রোধের সঞ্চার হইল না । চোর-রাজের ভূত্যেরা চলিয়া গেলে তিনি অমাত্যদিগকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন, “বন্ধুগণ, হৃদয়ে মৈত্রী পোষণ করে ; অন্য কোন डांदहक श्न नेि 9 न ।।” নিশীথ সময়ে শৃগালেরা মনুষ্যমাংস আহার করিবার জন্য সেখানে উপস্থিত হইল । তাহাদিগকে দেখিয়া রাজা ও অমাতাগণ এক সঙ্গে এমন বিকট চীৎকার করিলেন যে শৃগালেরা ভয় পাইয়া পলায়ন করিল। কিন্তু তাহারা কিয়দ্দূর গিয়া যখন পশ্চাতে মুখ ফিরাইয়া দেখিল কেহই তাহদের অনুধাবন করিতেছে না, তখন তাহারা ফিরিয়া আসিল। রাজা ও তঁাহার অমাত্যগণ পুনর্বার চীৎকার করিলেন, শৃগালেরাও পুনর্বার পলায়ন করিল এবং পুনর্বার ফিরিল। এইরূপে একে একে তিনবার পলাইয়া শৃগালেরা যখন দেখিতে পাইল কেহই তাহাদিগকে তাড়া করিতেছে না, তখন তাহাঁদের - সাহস বাড়িল, তাহারা বুঝিল যে, এ সকল লোক প্ৰাণদণ্ডের আজ্ঞায় নিবদ্ধ ; অতএব তাহারা আর পলায়ন করিল না। পালের প্রধান শৃগাল রাজাকে থাইতে গেল, অন্যান্য শৃগাল অমাত্যদিগকে খাইতে গেল। উপায় কুশল কাশীরাজ শৃগালকে অগ্রসর হইতে দেখিয়া গলা বাড়াইয়া দিলেন। শৃগাল ভাবিল তিনি যেন তাহার দংশনেরই সুবিধা করিয়া দিতেছেন। কিন্তু সে যেমন দংশন করিতে উদ্যত হইল, অমনি তিনি তাহারই গ্ৰীবা দংশন করিয়া ধরিলেন। তঁহার হনুতে যন্ত্রের মত এবং দেহে হস্তীর মত বল ছিল, কাজেই শৃগাল তাহার দশনপঙক্তি হইতে মুক্তিলাভ করিতে না পারিয়া মরণভয়ে বিকট রব করিয়া উঠিল। তাহার। আৰ্ত্তনাদ শুনিয়া অপর শৃগালেরা মনে করিল, তাহদের দলপতি নিশ্চিত কোন মানুষের হাতে ধরা পড়িয়াছে। তখন তাহারা সকলেই অমাত্যদিগকে পরিত্যাগ করিয়া প্ৰাণভয়ে পলাইয়া গেল । রাজা যে শৃগালকে হনুদ্বারা ধরিয়া রাখিয়াছিলেন, সে লাফালাফি করিতে করিতে র্তাহার চতুস্পার্থের মৃত্তিক শিথিল করিয়া দিল । চতুষ্পার্শ্বের মৃত্তিকা শিথিল হইয়াছে জানিয়া রাজা শৃগালকে ছাড়িয়া দিলেন এবং গজোপম বলপ্রয়োগপূর্বক এ পার্শ্বে ও পার্শ্বে দেহ চালিত করিয়া হাত দুইখানি উপরে তুলিলেন। অনন্তর গৰ্ত্তের দুই ধার ধরিয়া তিনি বিবর হইতে বাতবিচ্ছিন্ন মেঘখণ্ডবৎ নিম্ৰাম্ভ হইলেন এবং একে একে অমাত্যদিগের উদ্ধার সাধন করিলেন । ঐ শ্মশানে যে সকল যক্ষ থাকিত তাহাদের প্রত্যেকের জন্য এক একটী অংশ নির্দিষ্ট ছিল। যে দিনের কথা হইতেছে, সে দিন কতিপয় লোক দুই যক্ষের সীমার উপর একটা শব ফেলিয়া গিয়াছিল। যক্ষদ্বয় এই শব্ব বিভাগ করিতে না পারিয়া বলিল, “চল, ঐ শীলাবান রাজার নিকট যাই। উনি ধাৰ্ম্মিক ; এই শব্ব বিভাগ করিয়া আমাদের যাহার যতটুকু প্ৰাপ্য তাহা ঠিক করিয়া দিবেন।” অনন্তর তাহারা সেই শবের পা ধরিয়া টানিতে টানিতে রাজার নিকট গেল এবং শব। ভাগ করিয়া দিতে অনুরোধ করিল। রাজা বলিলেন, “ভাগ করিয়া দিৱ বটে, কিন্তু আমি অশুচি অবস্থায় আছি। অগ্ৰে আমাকে স্নান করাও ।” চোররাজের জন্য যে মুবাসিত জল ছিল, যক্ষদ্বয় প্রভাব বলে তাহা আহরণ করিয়া শীলবান রাজাকে স্নান করাইল ;