পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১-অপব্লক-জাতক গেলেই সুবিধা ; এই নিৰ্বোধি বণিকের গাড়ীর চাকায় অসমান পথ সমান হইবে ; ইহার বলদগুলি পাকা ঘাস খাইয়া যাইবে, কিন্তু ঐ সকল ঘাসের কাণ্ড হইতে যে কচি পাতা বাহির হইবে, আমার বলদগুলি তাঁহাই খাইবে ; আমরা আহারের জন্যও টাটুকা ফলমূল পাইব ; কোথাও জলের অভাব হইলে, ইহারা যে সকল কুপ খনন করিয়া যাইবে, আমরা তাহদের জল ব্যবহার করিতে পারিবী ; অধিকন্তু লোকের সহিত দরদস্তুর করিয়া আমাকে জালাতন হইতে হইবে না ; এ ব্যক্তি যে দ্রব্যের যে মূল্য স্থির করিয়া যাইবে, আমি তাহাতেই ক্ৰয়-বিক্রয় করিব।” অনন্তর সেই নির্বোধি বণিক পাঁচ শ, গাড়ী বোঝাই করিয়া যাত্ৰা করিল এবং কয়েক দিন পরে লোকালয় ছাড়িয়া এক কান্তারের নিকট উপস্থিত হইল । * এই কান্তার অতি ভীষণ স্থান । ইহা অতিক্রম করিবার সময় ষাট যোজনের মধ্যে কোথাও বিন্দুমাত্র জল পাওয়া যাইত না ; অপিচ, এখানে যক্ষেরা + বাস করিত। বণিকের অনুচরেরা ইহাতে প্ৰবেশ করিবার পূর্বে প্ৰকাণ্ড প্ৰকাণ্ড ভাণ্ড জলপুর্ণ করিয়া গাড়ীতে তুলিয়া লইল। কিন্তু তাহারা যখন কান্তারের মধ্যভাগে পৌছিল, তখন যক্ষরাজ ভাবুিল, “এই নির্বোধি বণিক্‌কে বুঝাইতে হইবে যে জল বহিয়া লইয়া যাওয়া অনাবশ্যক । তাহা হইলে এ সমস্ত জল ফেলিয়া দিবে এবং যখন মানুষ গরু সকলেই পিপাসায় কাতর হইয়া পড়িবে, তখন আমরা অনায়াসে এই সকল লোকের SKDDK BB DBB DBD DD BBDD SS এই দুরভিসন্ধি করিয়া যক্ষরাজ মায়াবলে এক মনোহর শকট সৃষ্টি করিল। দুইটী তুষারধবল ষণ্ড উহা টানিতেছে; যক্ষরাজ বিভবশালী পুরুষের বেশে উহাতে উপবেশন করিয়া আছে । তাহার মস্তক নীল ও শ্বেত পদ্মের মালায় মণ্ডিত ; কেশ ও বস্ত্ৰ জলসিক্ত ; শকটের চক্ৰ কৰ্দমাক্ত। অগ্রে ও পশ্চাতে দশ বার জন যক্ষ অনুচরবেশে কাৰ্ম্মক, তীর, অসি, চৰ্ম্ম, প্ৰভৃতি অস্ত্রশস্ত্ৰ লইয়া চলিয়াছে; তাহদেরও কেশ ও বস্ত্ৰ আদ্র, মস্তকে নীলোৎপল ও শ্বেতপদ্মগুচ্ছ, মুখে মৃণালখণ্ড, চরণে কর্দম । সার্থিবাহাদিগের মধ্যে এই প্ৰথা আছে যে, চলিবার সময় যখন সম্মুখ দিক হইতে বায়ু বহিতে থাকে, তখন দলপতি ধূলা এড়াইবার জন্য সর্বাগ্রে অবস্থিতি করেন, আর যখন পশ্চাৎ হইতে বায়ু চলে, তখন তিনি সকলের পশ্চাতে থাকেন। যে সময়ের কথা হইতেছে, তখন বায়ু সম্মুখদিক হইতে বহিতেছিল। সুতরাং সেই নির্বোধি বণিক দলের অগ্ৰে অগ্ৰে মাইতেছিল । তাহার নিকবৰ্ত্তী হইয়া যক্ষরাজ নিজের শকটখানি এক পাশ্বে সরাইয়া লইল এবং অতি মধুরভাবে সম্ভাষণ করিয়া জিজ্ঞাসিল, “মহাশয় কোথা হইতে আসিতেছেন ?” বণিক ও যক্ষরাজের শকটখানিকে পথ দিবার জন্য নিজের শকট এক পাশ্বে সরাইয়া রাখিল এবং কহিল, “মহাশয়, আমরা বারাণসী হইতে আসিতেছি। আপনার মস্তকে ও হস্তে পদ্ম দেখিতেছি ; আপনার অনুচরেরা মৃণাল চর্বণ করিতেছেন ; আপনাদের বস্ত্ৰ জলসিক্ত, শকট কৰ্দমাক্ত। পথে বৃষ্টি হইয়াছে কি এবং আপনি আসিবার সময় পদ্মবানশোভিত জলাশয় দেখিতে পাইয়াছেন কি ?” যক্ষরাজ উত্তর করিল, “বলেন কি, মহাশয় ?” ঐ যে কিয়দ্দূরে নীলতরুরাজি দেখিতে পাইতেছেন, ঐ স্থান হইতে সমস্ত বনে কেবল জল । ওখানে সর্বদাই বৃষ্টি হইতেছে ;

  • মুলে এখানে পঞ্চবিধ কান্তারের উল্লেখ আছে :-:চৌরকান্তার অর্থাৎ যেখানে দত্ম্যভয় আছে ; ব্যালকান্তার অর্থাৎ যেখানে সিংহব্যাস্ত্ৰাদির উপদ্রব আছে ; নিরুদককান্তার অর্থাৎ যেখানে জল নাই ; অমনুষ্যকান্তার অর্থাৎ যেখানে যক্ষরক্ষোভূতপ্রেত্যাদি অপদেবতার ভয় আছে; অল্পভক্ষ্যকান্তার অর্থাৎ যেখানে খাদ্যাভাব। বণিক যে কাস্তারে প্রবেশ করিয়াছিল, তাহা নিরুদক ও অমানুষ্য।

SSS S DBD BDBBDBBD DDBBDBDuYSDDD t BDBDDBS