পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপক্ৰমণিকা । জাতকের সংখ্যা ৫৫০ বলিয়া দেখা যায় । কিন্তু ইহাও বোধ হয় স্থলনির্দেশ মাত্র । পালিগ্ৰন্থকারেরা বহুসংখ্যাদ্যোতনাৰ্থ এক একটা স্কুলসংখ্যানির্দেশের বড়ই পক্ষপাতী। যিনি ধনী তিনি অশীতি কোটি সুবর্ণের অধিপতি বলিয়া বর্ণিত ; যিনি আচাৰ্য্য তিনি পঞ্চশত-শিষ্যপরিবৃত ; যিনি সাৰ্থবাহ তিনি পঞ্চশত শকট লইয়া বাণিজ্য করিতে যান । সম্ভবতঃ এই অভ্যাসবশতঃই তাহারা জাতকের সংখ্যা ৫৫০ বিলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন । জাতকার্থিবৰ্ণনার ৫৪৭ জাতকেই দেখা যায় সূক্ষ্মভাবে গণনা করিলে এ সংখ্যা প্ৰকৃত নহে । উদাহরণস্বরূপ এখানে বর্তমান খণ্ডের কুলায়ক জাতক (৩১) প্ৰদৰ্শন করা যাইতে পারে । এই একটি মাত্ৰ জাতকে বোধিসত্ত্ব দুইবার জন্মগ্রহণ করিয়াছেন বলিয়া লেখা আছে এবং চারিটি ভিন্ন ভিন্ন আখ্যায়িকা কষ্টকল্পনাসূত্রে নিবদ্ধ uBDuuDuDS BBDBDB BBD BBDB D DD BLLDBDSBBLBLDLL DDDDS DD DBBDS কোথাও বা একই নামে পুনরুক্ত হইয়াছে। প্ৰথমখণ্ডের মুণিকজাতক (৩০) এবং দ্বিতীয়খণ্ডের শালুকজাতক (২৮৬), প্ৰথমখণ্ডের মৎস্যজাতক (৩৪) এবং দ্বিতীয়খণ্ডের মৎস্যজাতক ( ২১৬ ), প্ৰথমখণ্ডের আরামদূষকজাতক (৪৬) এবং দ্বিতীয়খণ্ডের আরামদুষজাতক (২৬৮), প্ৰথমখণ্ডের বানরেন্দ্ৰজাতক (৫৭) এবং দ্বিতীয়খণ্ডের কুম্ভীরজাতক (২২৪) প্ৰভৃতি কতকগুলি কথা উপাখ্যানাংশে এক, কেবল গাথার সংখ্যানুসারে বিভিন্ন । আবার প্ৰথমখণ্ডের সর্বসংহারক-প্ৰশ্ন (১১০), গর্দভ-প্ৰশ্ন (১১১) ও অমরাদেবী-প্ৰশ্ন (১১২) এবং দ্বিতীয়খণ্ডের কুকণ্ঠক জাতক (১৭০), শ্ৰীকালকণীজাতক (১৯২) ও মহাপ্ৰণাদজাতক (২৬৪) কেবল সংখ্যাপূরণের জন্য তালিকাভুক্ত হইয়াছে ; ইহাদের উপাখ্যানাংশ জানিতে হইলে প্ৰথম পাচটার জন্য মহাউন্মাৰ্গজাতক (৫৪৬) এবং ষষ্ঠটার জন্য সুরুচিজাতক (৪৮৯) পাঠ করিতে হইবে । একই খণ্ডে ভিন্ন ভিন্ন জাতকের পুনরুক্তিও নিতান্ত বিরল নহে। প্ৰথমখণ্ডে ভোজাজানেয়াজাতক (২৩) এবং আজন্মজাতক (২৪) একই আখ্যায়িকা ; শুদ্ধ ভিন্নাকারে বর্ণিত । সেইরূপ প্ৰথম মিত্ৰবিন্দকজাতকে (৮২) এবং দ্বিতীয় মিত্ৰবিন্দকজাতকে ( ১০৪ ), পরসহস্রজাতকে ( ৯৯ ) এবং পরশতজাতিকে (১০১), ধ্যানশোধনীজাতকে ( ১৩৪ ) ও চন্দ্ৰাভাজাতকে (১৩৫) পার্থক্য অতি সামান্য। অতএব দেখা যাইতেছে যে প্ৰকৃত ‘জাতকোর’ সংখ্যা, অর্থাৎ যে সকল কথায় বোধিসত্ত্ব এক একবার জন্মগ্রহণ করিয়াছেন বলিয়া বৰ্ণিত সেই গুলি গণনা করিলে, জাতকার্থিবৰ্ণনার জাতকসংখ্যা ৫৪৭ অপেক্ষা কম হইবে । কিন্তু জাতকার্থিবৰ্ণনার জাতকগুলিই সমগ্ৰ জাতক নহে। জাতকার্থিবৰ্ণনার নিদানকথাতে মহাগোবিন্দজাতকের নাম দেখা যায় ; অথচ পরবর্তী ৫৪৭টা জাতকের মধ্যে উহা স্থান পায় নাই । সুত্তপিটক প্ৰভৃতি গ্রন্থে এবং শ্যাম, ' তিববত প্ৰভৃতি দেশেও কয়েকটি স্বতন্ত্র জাতক আছে । ফলতঃ জাতিক নামে অভিহিত আখ্যানগুলির কোন নিদিষ্ট সংখ্যা নাই । যিনি যখন সুবিধা পাইয়াছেন, তিনি তখন প্ৰচলিত কোন আখ্যানকে বৌদ্ধবেশে সজ্জিত করিয়া এবং বোধিসত্ত্বকে তাহার নায়কের স্থানে প্ৰতিষ্ঠিত করিয়া জাতিক নামে চালাইয়া । গিয়াছেন । এই সকল আখ্যানের সঙ্কলন দ্বারা পণ্ডিতেরা নানা সময়ে নানা গ্ৰন্থ লিপিবদ্ধ করিয়াছেন। তন্মধ্যে তিববৎদেশীয় বৃহজাতকমালা এবং সিংহলের