পাতা:জীবনচরিত.djvu/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বলণ্টিন জামিরে ডুবাল।
৬১

 অনন্তর ডুবাল ১৭০৯ খৃঃ অব্দের দুঃসহ হেমন্তের উপক্রমে লোরেন প্রস্থান করিলেন। পথিমধ্যে বিষম বসন্ত রোগে আক্রান্ত হইলেন। ঐ সময়ে যদি এক কৃষকের আশ্রয় না পাইতেন তাহা হইলে তাঁহার অকালে কালগ্রাসে পতিত হইবার কোন অসম্ভাবনা ছিল না। কিন্তু ভাগ্যক্রমে ঐ ব্যক্তি তাঁহার তাদৃশ দশা দর্শনে দয়ার্দ্র - চিত্ত হইয়া তাঁহাকে আপন মেষশালায় লইয়া গেল। তথায় মেষপুরীষরাশি ব্যতিরিক্ত অন্যবিধ শয্যার সঙ্গতি ছিল না। যাবৎ তাঁহার পীড়োপশম না হইল সেই কৃষক তাঁহাকে মেষপুরীষরাশিতে আকণ্ঠ মগ্ন করিয়া রাখিল এবং অতি কদর্য্য পোড়া রুটি ও জল এই মাত্র পথ্য দিতে লাগিল। এইরূপ চিকিৎসা ও এইরূপ শুশ্রুষাতেও তিনি সৌভাগ্যক্রমে এই ভয়ানক রোগের আক্রমণ হইতে রক্ষা পাইলেন এবং পরিশেষে কোন সন্নিবেশবাসী যাজকের আশ্রয় পাইয়া সম্পূর্ণরূপে মুস্থ হইয়া উঠিলেন।

 ডুবাল, নান্সির নিকটে এক মেষপালকের গৃহে নিযুক্ত হইয়া, তথায় দুই বৎসর অবস্থিতি করিলেন। ঐ সময়ে ভূয়সী জ্ঞানবৃদ্ধি সম্পাদন করেন। ডুবাল শৈশবাবধি অনুসন্ধিৎসু ছিলেন। অতি শৈশবকালেই সর্প, ভেক প্রভৃতি অনেকবিধ জন্তু সংগ্রহ করিয়াছিলেন এবং প্রতিবেশী ব্যক্তিবর্গকে, এই সকল জন্তুর কিরূপ অবস্থা, ইহার এরূপে নির্ম্মিত হইল কেন, ইহাদিগের সৃষ্টির তাৎপর্য্যই বা কি, এবম্বিধ বহুতর প্রশ্ন দ্বারা সর্ব্বদাই