পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্রোণ করেন । কিন্তু দুবৃত্তগণ ইহার পরামর্শনুযায়ী কাৰ্য্য করিত না। দুৰ্য্যোধন বিরাটরাজের গোধন হরণমানসে গমন করিবার সময়, ইনি কৌরব সৈন্তসহ গমন করেন। তথায় যুদ্ধে ইনি শিষ্য অৰ্জ্জুনের হস্তে পরাস্ত হইয়াছিলেন। ভারতযুদ্ধে দ্রোণাচাৰ্য্য কৌরবপক্ষ অবলম্বন করেন। ভীষ্মের শরশয্যার পর একাদশ দিবসে ইনি কৌরব সৈন্তের সেনাপতি রূপে অভিষিক্ত হন। চতুর্দশ দিবসের যুদ্ধে অন্যায় সমরে অভিমন্ত্র্যর বধের জন্ত ইনি সাহায্য করিয়াছিলেন । পঞ্চদশ দিবসের তুমূল সমরে ইনি দ্রুপদ ও বিরাট রাজকে নিহত করেন । তদনন্তর অশ্বথামা নামে হস্তী বধ হইলে, “অশ্বথামা হত ৷ হইয়াছে” এই রব উঠিল। ইনি মনে করিলেন যে ইহঁার এ হইয়াছে । অতঃপর পুত্ৰশোকে অতি ম্ৰিয়মাণ হইয়া যোগবলে দেহত্যাগ করিলে,ধৃষ্টছম ইহার রথে আরোহণ পূৰ্ব্বক খড়গাখাতে ម៉ុ মস্তক দিধা করেন । ੋ বৎসর বয়সে [ s२8 ] পুত্রের বিনাশ | দ্রৌপদী হইতে ইনি যজ্ঞসেনী নামেও বিদিত । শু্যামবর্ণ বলিয়া ইহার কৃষ্ণ নাম রক্ষিত হয় । এই সকল নামের মধ্যে ইনি দ্রৌপদী নামেই সমধিক পরিচিত । দ্রৌপদীর পিতার ইচ্ছা ছিল যে মধ্যমপাণ্ডব অর্জুনের সহিত কন্তর পরিণয় হয় । কিন্তু জতুগৃহ দাহের পর পাণ্ডবগণের কোন সংবাদ না পাইয়া, তিনি লক্ষ্যভেদপণে দুহিতার বিবাহ ঘোষণা করিলেন। এক সুদৃঢ় ধনুক নিৰ্ম্মণপূর্বক অতি উচ্চে লক্ষ্য বস্তু স্থাপিত করিলেন । যিনি সেই ধনুতে শরযোজনা পূৰ্ব্বক সেই লক্ষ্য বিদ্ধ করিয়া পাতিত করিতে পরিবেন, তাহাকেই কন্যারত্ব অর্পিত হইবে। পাঞ্চালীর রূপগুণের সংবাদে নানা দেশ হইতে রাজপুত্ৰগণ পাঞ্চালে উপস্থিত হইলেন। অনেকে ধনুকে জ্যারোপণ করিতে অসমর্থ হইলেন। বীরবর কর্ণ ধনুকে জ্যারোপণ পুৰ্ব্বক শর সন্ধান করিতে ছিলেন, এমত সময় দ্রৌপদী সৰ্ব্বসম্মুখে বলিলেন মে তিনি সুতপুত্রকে পতিত্বে বরণ করিবেন না । অনন্তর ছদ্মবেশী অর্জুন লক্ষ্য ভেদ করিয়া ইহঁার পতি হইবার অধিকারী হইলেন । 劇 অতঃপর ভীমাৰ্জনের সহিত দ্রোণাচাৰ্য্য তন্থত্যাগ করেন। মহা कभी-थाऽदर्शिके ইনি পাঞ্চালরাজ দ্রুপদের কন্যা, তজ্জন্ত ইহঁার নাম পাঞ্চালী ও দ্রৌপদী। দ্রুপদরাজের অপ নাম যষ্ণসেন