শকুন্তলা [ কর্তৃক রাজসমীপে প্রেরিত হন প্রথমে রাজা ইহঁাকে চিনিতে পারেন মা; পরে দৈববাণীতে সমস্ত অবগত হইয়া, ইহঁীকে গ্রহণ করেন। (মহ) শক্তি—মহর্ষি বশিষ্ঠের জ্যেষ্ঠ পুত্র। একদা রাজা কন্মাষপাদ মৃগয়ান্তে রাজধানীতে প্রত্যাগমনের সময়, ইহঁাকে পথিমধ্যে দেখিতে পান । ইনি পথ ছাড়িয়া না দিলে, তিনি ইহঁাকে কশাঘাত করেন। ইনি তাহাকে রাক্ষস হইবার অভিশাপ প্রদান করিলেন । অতঃপর তিনি রাক্ষসরূপে পরিণত হইয়া, ইহঁাকে উদরসাৎ করেন। শক্তি, অদৃশ্যম্ভীর পাণিগ্রহণ করি য়াছিনে। . ইহঁার মৃত্যুর সময় তিনি গর্ভবতী ছিলেন । সেই গর্ভে পরাশর জন্ম গ্রহণ করেন। (রামা) শঙ্করাচার্মা, শঙ্কর-প্রসিদ্ধ বেদান্ত বাদী। ইনি কেরল দেশে জন্ম পরিগ্রহ করেন। প্রতিভা-বলে ইনি অতি অল্প বয়সে সংস্কৃত ভাষায় অভিজ্ঞতা লাভ করিয়া শাস্ত্রাদি পাঠ করিতে প্রবৃত্তচন। কথিত আছে যে ইহঁার সহিত জ্ঞাতিবর্গের মনোমালিন্ত উপস্থিত হয়। মাতাকে একাকিনী গৃহে রাখিয়া, ইনি ধৰ্ম্মার্থ স্থানে স্থানে গমন করেন । প্ৰব্ৰজ্য হইতে প্রত্যাগমন করিয়া, ইনি দেখিলেন যে, ইহঁার মাতা অত্যন্ত পীড়িত হইয়া ছেনা। কিন্তু २¢७ ] শঙ্করাচার্ষ্য জ্ঞাতিবর্গের কেহই তাহার সেবা শুশ্রীষা করেন নাই । ইহাতে অতীব দুঃখিত মনে ইনি মাতার সেবায় রত হইলেন। তাহার মৃত্যু হইলে, ইহার সংসারের একমাত্র বন্ধন ছিন্ন হইল। অনন্তর মাতৃদেহ প্রাঙ্গনে . দাহ করিয়া, গৃহ হইতে চিরকালের জন্য বহির্গত হইলেন। অতঃপর শঙ্করাচার্য্য ধৰ্ম্মার্থ দেশে দেশে ভ্রমণ করেন। বৌদ্ধদিগকে বিচারে পরাজয় করিয়া স্থানে স্থানে মঠ স্থাপন পূর্বক ধৰ্ম্মচর্চার সুবিধা করিলেন । ইহার প্রণীত গীতার ভাষ্য বিখ্যাত। বেদান্তভাষ্য, মোহমুগের প্রভৃতি ইনি অনেক প্রসিদ্ধ গ্রন্থ বিরচিত করেন। কাশ্মীরে, বদরিকাশ্রমে, কেদারনাথে, ইনি সময়ে সময়ে গমন পূর্বক অবস্থান করিতেন। এইরূপে বত্রিশ বৎসর অতিবাহিত করিয়া, জীবনের প্রথমাংশ শেষ করেন। শঙ্করাচার্ষ্য একজন বিখ্যাত জ্যোতিষী ছিলেন এবং গণনাকার্য্যে অভ্রান্ত বলিয়া প্রসিদ্ধ। ইনি একদ কাশীর কোন স্থানে বসিয়া, আগস্তকদিগের জিজ্ঞাসিত বিষয় গণনা করিতেছিলেন। ইতি মধ্যে একজন যোগীর শিষ্য তথায় উপনীত হই- ' লেন। র্তাহার মৃত্যুর সময় নির্দিষ্ট করিয়া বজ্রাঘাতে জীবন-নাশের বিষয় বলিয়া দিলেন। শিষ্য দুঃখিত
