পাতা:জীবনী শক্তি - প্রতাপচন্দ্র মজুমদার.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰথম অধ্যায় । নিকট উপকারের প্রত্যাশা করিতে লাগিল, যখন তিনি দেশের নানাবিধ উপকার সাধন করিবার উপযুক্ত হইলেন, সেই সময়েই তাহার শরীর ভগ্ন হইল, এবং জীবনী শক্তির ক্ষয় হওয়াতে তিনি অকালে মৃত্যুমুখে পতিত হইলেন। শারীরিক ও মানসিক শক্তির নিয়মিতরূপে পরিচালনা করিলে যে দীর্ঘ জীৱন লাভ করা যায় ও সমাজের অশেষ কল্যাণ সাধন করিতে পারা যায়, সে द्विषc কোন সন্দেহ নাই। ভিষকৃপ্রবর বিহারী লাল ভাদুড়ী মহাশয় অবিচলিত জ্ঞধ্যবসায় ও অক্লান্ত পরিশ্রমের প্রভাবে চিকিৎসা, শাস্ত্ৰে বিশেষ বুৎপত্তি এবং রোগনিবারণে অসাধারণ পারদর্শিত লাভ করিয়া যখন সুবিখ্যাত হইয়া উঠিলেন, তখনই র্তাহাকে দেহত্যাগ করিতে হইল। দরিদ্র রোগীদিগের তিনি পিতা মাতা স্বরূপ ছিলেন। র্তাহার অকাল মৃত্যুতে কত লোক য়ে নিরাশ্রয় হইয়াছে, তাহ বলা যায় না। তিনি যদি শক্তি রক্ষা করিয়া চলিতেন, তাহা হইলে হয়ত আজ পৰ্য্যন্ত জীবিত থাকিয়া কত লোকের উপকার ক্লারিতে পারিতেন এবং চিকিৎসাশাস্ত্রেরও অনেক উন্নতি সাধন করিতে সমর্থ হইতেন। আমাদের দেশে এইরূপ দৃষ্টান্ত প্রচুর দেখিতে পাওয়া যায়। অতএব শক্তিক্ষয় করা কোন মতেই উচিত নহে। অত্যাচার করিয়া তন্নিবন্ধন কৃষ্টভোগ না করিলেও যদি জীবনী শক্তির এইরূপে হ্রাস হইয়া যায়, তাহা হইলে অতি অল্প কালের মধ্যেই দেহ অকৰ্ম্মণ্য হইয়া পড়ে এবং উহা রক্ষা করা অসম্ভব হইয়া উঠে। তখন আমরা নানা প্রকার চিকিৎসা, বায়ু পরিবর্তন, কাৰ্য্যচিন্তা পরিত্যাগ প্রভৃত্বি উপায় অবলম্বন করি বটে, কিন্তু তাহাতৃে কোন ফলই হয় না।