কুতৰ উদ্দিন কুতব উদ্দিন দিল্লীতে রাজধানী স্থাপন করিয়া, মোহাম্মদ ঘোরীর প্রতিনিধিরূপে শাসন কার্য্য পরিচালনা করিতে লাগিলেন ইহার কিছুকাল পরেই তিনি আলীগড় স্বীয় অধিকারভুক্ত করিলেন। তাহার পর বৎসর অব্দে) মোহাম্মদ ঘোরী কনৌজ ও বারীণসী আক্রমণ করিতে অভিলাষী হইয়া ভারতবর্ষ অভিমুখে যাত্রা করেন। কুতব উদ্দিন লুষ্ঠিত দ্রব্য সমগ্রীসহ প্রভুর প্রত্যুদগমন করিলেন । মোহাম্মদ ঘোরী কুতব উদিনের বীরত্বে ও বিশ্বস্ততায় সন্তুষ্ট হইয়। তাই কেই কনৌজ ও বরিাণসী অত্ৰিমণ করিতে প্রেরণ করিলেন । কুতব সসৈন্তে কনৌজে উপস্থিত হইয় (১১৯৪ খ্রীঃ মহারাজা জয়চন্দ্রকে পরাজিত ও নিহত করিলেন । মোহাম্মদ ঘোরীকে আহবান করিয়া পৃথ্বীরাজকে নিহত করিবার ফল তিনি ভোগ করিয়া পরলোকগত হই লেন । তাহার বংশধরের রাজপুতনার মরুভূমিতে আশ্রয় লইলেন। তৎপরে কুতব উদ্দিন বারাণসী ও বিহারের কোনও কোনও স্থান লুণ্ঠনপূৰ্ব্বক, প্রায় সহস্ৰাধিক দেবমন্দির ধ্বংস করিয়া বিপুল ধনরাশি মোহাম্মদ ঘোরাকে উপ হার প্রদান করেন । অতঃপর মোহাম্মদ ঘোরী কুতব হস্তে রাজ্যভার সমর্পণ পুৰ্ব্বক গজনীতে প্রত্যাগত হইলেন । জীবনী-কোষ ՏՀ 8 তাহার ভ্রাতুপুত্ৰ মাহমুদ ঘোরী ঘোর রাজ্যের অধিপতি হইয়া কুতব উদ্দিনকে ভারতবর্যের অধিপতি বলিয়। স্বীকার করেন । মোহাম্মদ ঘোরীর অন্ততম সেনাপতি এলাদ{জ খ গজনীর শাসনকৰ্ত্তা ছিলেন । মোহাম্মদ ঘোরীর মৃত্যুর পরে এলাদাজ খাঁ স্বাধীনতা অপণশ্বন করেন । তিনি শুধু গজনীর অধিকার লইয়াই তৃপ্ত রহিলেন না । { তনি রাজ্য বিস্তারে অভিলাষী হইয়। লাহোর নগরে সসৈন্তে উপস্থিত হইলেন। কুতৰ উদ্দিন তাহকে যুদ্ধে পরাস্ত করিমু। গজনী পৰ্য্যন্ত অধিকার করিলেন । এদিকে অত্যন্স কাল মধ্যেই এণ1দ (জ খ৷ সেই সংগ্ৰহ করিয়া কুতল উদিলকে ভারতবর্ষে বি ওড়িত করিলেন। মোহাম্মদ ঘোরার মৃত্যুর পরে কুতৰ উদ্দিন মাএ চারি ৭২সর জীবিত ছিলেন। ১২১০ খ্ৰীঃ অব্দে লাহোরনগরে ঘোড়দে (ড়ের সময় ঘোড়া হইতে পড়িয়া তিনি মৃত্যুমুখে পতিত হন। ঐতিহাসিক পণ্ডিতগণ তাহাকে দ্যায়পরায়ণ, দানশীল ও শৌর্য্যবীৰ্য্যশালী নরপতি বলিয়া বর্ণনা করিয়াছেন। তিনি অর্থ বিতরণে মুক্তহস্ত ছিলেন ! এজন্ত লোকে তাহাকে 'লক্ষ মুদ্রা প্রদাত) এই উপাধি প্রদান করিয়াছিল । উত্তরকালে কেহ অর্থ বিতরণে ইহার কিছুদিন পরে ১২০৬ খ্ৰীঃ অব্দে কার্পণ্য না করিলে, তাহাকে দ্বিতীয় ঘোরী গোমুর দিগকর্তৃক নিহত হন । কুতব উদ্দিন আখ্যা প্রদান করা হইত
