পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৭ ও তত্তৎবিষয়ে ব্যবস্থা দেওয়া হইয়াছিল। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় ঐ পুস্তক পাঠ করিয়া বিশেষ সন্তুষ্ট হন এবং কেশবচন্দ্রের যুক্তির সারবত্ত উপলব্ধি করিয়া উপবীত পরিত্যাগ করেন। ১৮৬৩ সালে বোম্বাই প্রদেশ হইতে ডাঃ ভাউদজি নামে একজন উচ্চ শিক্ষিত পার্শী ভদ্রলোক কলিকাতা আগমন করেন । র্তাহার সহিত পরিচয়ের ফলে কেশবচন্দ্র সোসাইটি অব so Cogh (Theistic Friends' Society ) নামে একটি সমিতি গঠন করেন । ঐ সমিতি হইতেই প্রথমতঃ স্ত্রী শিক্ষা বিস্তারের পূৰ্ব্বোক্ত ठttप्लस’ न झुम्ला । পূৰ্ব্বেই উক্ত হইয়াছে, কেশবচন্দ্র ব্রাহ্মসমাজকে একটি শৃঙ্খলাধীন মুনিয়ন্ত্রিত ধৰ্ম্মসমাজে পরিণত করিবার চেষ্টা করেন (২৩১ পূঃ) । এতদুপলক্ষে ‘ব্রাহ্ম প্রতিনিধি সভা’ নামে একটি সমিতি তিনি প্রতিষ্ঠা করেন । ঐ সভাকে দৃঢ়ভিত্ত্বির উপর প্রতিষ্ঠা করিয়া কাৰ্য্যক্ষেত্রে অগ্রসর হইবার পূৰ্ব্বেই, প্রাচীন পন্থীদের সহিত, উপবীতধারী আচার্য্য নিয়োগের বিরুদ্ধতা করার জন্ত তাহfর ংঘর্ষ উপস্থিত হয় । মহর্মি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ঐ বিবাদের মধ্যস্থত। করিতে অসমর্থ হইয়া, সমুদয় বিষয় পরিচালনা করিবার ভার স্বহস্তে গ্রহণ করেন। কেশবচন্দ্রের অন্ততম সহকৰ্ম্মী ভারতীয়-ঐতিহাসিক কেশবচন্দ্র প্রতাপচন্দ্র মজুমদারকে পূৰ্ব্বে ‘তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা’ পরিচালনার ভার প্রদত্ত হইয়াছিল। এক্ষণে দেবেন্দ্রনাথ উহা অপরের হস্তে প্রদান করিলেন। কেশবচন্দ্র ও র্তাহার সহকৰ্ম্মীরা নিজেদের মতামত ব্যক্ত করিবার জন্য পত্রিকার অভাব বোধ করিয়া, ধৰ্ম্মতত্ত্ব’ নামে একটি মাসিক পত্রিক। প্রকাশ করেন। ১৮৬৫ খ্ৰীঃ অব্দে পুনরায় ব্রাহ্মসমাজের কাজ নিয়মতান্ত্রিক ভাবে চালাইবার জন্ত আন্দোলন উপস্থিত হয় । তৎফলে প্রাচীন পন্থীদের সহিত কেশবচন্দ্র ও তাচার অনুগামীদের ঘোরতর বিরোধ উপস্থিত হয় । এতৎ সঙ্গে ব্রাহ্মসমাজকে সৰ্ব্বপ্রকারে পৌত্তলিকতা ও জাতিভেদ প্রথার প্রভাব হইতে মুক্ত রাখিলার জন্তও তিনি দেবেন্দ্রনাথের সহিত আলোচনায় প্রবৃত্ত হন । কেশবচন্দ্রের প্রতি অসীম স্নেহ থাকা সত্ত্বেও দেবেন্দ্রনাথ তাহার সংস্কার মূলক কাৰ্য্যগুলিকে দিশেষ আগ্রহের সহিত গ্ৰহণ করতে পারেন নাই । কেশবচন্দ্র ও নিজ বিচারলদ্ধ চিন্তাকে কায্যে পরিণত করিবার সুযোগ ন৷ পাইয়ু, বাধ্য হইয়া সদলবলে মূল (ञानि) बांकनभखि श्८ड श्रृं५क श्हेब्रl, ‘ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ' স্থাপন করেন ( ১৮৬৬ খ্ৰীঃ আব্দ ) । এই সকল চিত্তবিক্ষিপ্তকারী কাৰ্য্যের মধ্যে লিপ্ত থাকিয়াও, ব্রাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার,