কৈকুবাদ তনু,উটিরাঙ, চুন্নর, কফ্রিয়ো ও দায়েম নামে পাঁচ পুত্র ছিল । তাহারা সকলেই ংশকর পুত্র লাভ করিয়া এক একটি গোত্রের প্রতিষ্ঠাতা হইয়াছিলেন । কেহুড় সিংহ–(২) যশল্মিরের রাজা তৃতীয় মূলরাজের পুত্র দেবরাজ । মুনরপতি রাণীর কন্যার সহিত র্তাহার বিবাহ হয় । সেই রাজদুহিতার গর্ভে দেবরাজের কেল্লাহুড় নামে এক পুত্র জন্মে। এই কেল্লাহুড় মাতামহ গৃহে দ্বাদশ বর্ষ বয়ক্রমকালে গমন করেন । বিমল দেবীর গর্ভে রাণ। গরসিংহের পুত্রাদি না জন্মাতে তিনি কেল্লাহুড়কেই পোষ্য পুত্র গ্রহণে অভিলাষী হইলেন। এদিকে -যশিরের পুত্রের রাজ্যলাভে বঞ্চিত হইবে বলিয়, কেছুড়কে হত্যা করেন এবং গরসিংহও গতায়ু হইলেন । কিন্তু বিমলা দেবী ইহাতে নিরস্ত ন হইয়৷ হামিরের জৈত্য ও লুনকৰ্ণ নামক পুত্রদ্ধয়কে পোষ্য পুত্ররূপে গ্রহণ করি লেন । কৈকুবাদ – তিনি দিল্লীর মুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবনের পৌত্র ও বঙ্গাধিপ নাসির উদ্দিন মাহামুদের (অন্য নাম বগরা খ৷ ) পুত্র । কৈকুবাদের সম্পূর্ণ নাম ময়ুজ উদ্দিন কৈকুবাদ । পিতামহ গিয়াস উদ্দিন বলবন ১২৮৭ খ্ৰীঃ অব্দে যখন পরলোক গমন করেন, তখন র্তাহীর পিত। নাসির উদ্দিন বাঙ্গালাদেশে ছিলেন। সেইজন্য অমাত্য জীবনী-কোষ ఫిdఆ বর্গ কৈ কুবাদকেই সিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি পিতামহের কঠোর শাসনের অধীনে থাকিয়াও চরিত্রের সংযম শিক্ষা করেন নাই। ফলে সিংহাসন আরোহণ কবিয়াই, সুরা ও সুন্দরীর একান্ত বশীভূত হইলেন । দুষ্ট মন্ত্রী নিজাম উদ্দিন রাজ কার্য্যে সৰ্ব্বপ্রধান হইলেন । এমন ক কুতর উদিনের বংশধরকে সিংহাসন হইতে অপসারিত করিয়া, স্বয়ং দিল্লীর আধিপত হইতে অভিলাষী হইলেন । তদৰ্থে নিজাম উদিনের প্ররোচনায় কৈ কুবাদ স্বীয় জ্যেষ্ঠতাত পুত্র কৈখুসরুকে নিহত করিলেন এবং ভূতপূৰ্ব্ব মন্ত্রী খাজে খাতিরকে গর্দভপৃষ্ঠে আরোহণ করাইয়। নগর প্রদক্ষিণ করাইলেন । সম্রাটের পিতা বঙ্গাধিপ নাসির উদ্দিন মামুদ পুত্রের বিষয় জানিতে পারিয়া র্তাহার সহিত দেখা করিবার জন্ত সসৈন্তে শোন নদীর তীরে উপস্থিত হইলেন । এদিকে কৈকুবাদ ও সসৈন্তে ঘর্ঘরা নদীর তীরে উপস্থিত হইলেন । নাসির উদ্দিন বুঝিতে পারিলেন, বল প্রয়োগে কিছু হইবে না। তখন তিনি পুত্রকে অতি বিনয়ের সহিত র্ত{হার সহিত দেখা করিবার জন্য এইরূপ ভাবে একখানা পত্র লিখিলেন—“প্রিয় পুত্র, তোমাকে দেখি বার জন্ত আমার একান্ত বাসন। হইয়াছে । আর অধিক দিন আমি
