পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৫৭ তোমার বিরহ সহিতে পারিতেছি না । বুদ্ধ পিতা জেকব মরিবার পূৰ্ব্বে র্তাহীর পুত্র যোশেফকে অীলিঙ্গন করিবার জন্য যেরূপ উদ্বিগ্ন হুইয়াছিলেন, আমিও তোমাকে আলিঙ্গন করিবার জন্য তদপেক্ষা অল্প উদ্বিগ্ন নহি । তুমি আমার প্রার্থন। পুর্ণ কর! আমি শপথ করিয়া কহিতেছি, আর কখনও তোমার রাজ কর্য্যে ব্যাঘাত জন্মাইব না । অথবা তোমার ইচ্ছার বিরুদ্ধচারী হইব না ।” কৈ কুবাদ পিতার পত্র পাঠ করিয়া, হাত স্তু মৰ্ম্মহত হইলেন । তিনি পি তার সহিত সাক্ষাং করিবার জন্য গমন করিতে উদ্যত হইলেন, কিন্তু তুষ্ট মন্ত্রী নিজাম উদ্দিন জানিতেন যে, এই সাঙ্গীতের ফলে তাহার আশা সমূলে নিৰ্ম্মল হইবে । সেইজন্য তিনি কৈ কুবাদকে বুঝাইলেন যে, তিনি স্বয়ং ঘাইয়া দেখা করিলে সম্রাটের মৰ্য্যাদার হানি হইলে । স্ন তরাং বন্দে বস্ত হইল যে, কৈ কুবাদ রাজন্তৈ ও অন্যান্স গেীরধ স্থচ ক চিহ্ন সহ ঘর্ঘরা নদীর তীর পরিত্যাগপূর্বক শোন নদীর তীরে উপস্থিত হইবেন । নাসির উদ্দিন শোন নদী উত্তীর্ণ হইয় পুত্রের শিবিরে গমনপূৰ্ব্বক দরবারের নিয়ম অনুসারে সম্মান প্রদর্শন করিয়া, তাহার সম্মুখীন হইবেন । কৈ কুবাদ পি তাকে দর্শন করিয়াও সিংহাসন হইতে অব ●●ー'98 ভারতীয়-ঐতিহাসিক কৈকুবাদ তরণ করিবেন না । মন্দমতি মন্ত্রী নিজম উদ্দিন মনে করিয়াছিলেন এই উপায়ে পি তা পুত্রের মিলনের ব্যাঘাত জন্মিবে । কিন্তু বঙ্গাধিপ নাসির উদ্দিন এই হীন প্রস্তাবেও স্বীকৃত হইয় পুত্রের শিবিরে উপস্থিত হইলেন । কৈ কুবাদ সিংহাসন হইতে অবতরণ করিয়া ব্য। কুলচিত্তে পিতার চরণে পতিত হই। ক্ষমা প্রার্থনা করিলেন এবং অতি সমাদরে পিতাকে সিংহাসনে উপবেশন করাইলেন নিজে ও অতি বিনীতভাবে তাহীর সম্মুখে আসন পরিগ্রহ করিলেন । ইহার পর আনন্দ স্থচ ক ও আমোদজনক বহু কাৰ্য্য অনুষ্ঠিত হইল । তৎপরে কয়েকদিন ধfরয়। অনিন্দ উংসব চলিয়ছিল । কিছুদিন পরে নাসির উদ্দিন স্বীয় শি বরে গমন করিলেন । উভয়পক্ষ হইতে যথাযোগ্য উপঢৌকনাদি প্রেরিত হইতে লাগিল । উপযু পরি নাসির উদ্দিন পুত্রের সহিত সাক্ষাং করিলেন । বিদায়ের দিন সমাগত্ত হইলে, তিনি পুত্রকে ক্রোড়ে লইয়৷ কয়েকটা উপদেশ প্রদানপুৰ্ব্বক বাপকুললোচনে শিবিরে প্রতিগমন করিলেন। অতঃপর নাসির উদ্দিন বাঙ্গাল। দেশাভিমুখে প্রস্থান করিলেন । সম্রাট কৈ কুবাদ পিতার সহপদেশ অনুসারে আমোদ প্রমোদ পরিত্যাগপূৰ্ব্বক রাজ কার্যে মনোনিবেশ করিলেন । ইহাতে