ՀԳ> কৰ্ম্ম হইতেও বহিস্কৃত হন। ইহাতে ভগ্ন মনোরথ হইয়া তিনি ১৮৫১ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারী পরলোক গমন করেন । ভারতবাদী চিরকাল এই সত্যানুরাগী নিৰ্ভীক মহাত্মার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকিবে । ক্রকচ—তিনি কর্ণাট দেশীয় কাপালিক সম্প্রদায়ের রাজ এবং কপলিক সম্প্রদায়ের নেতা ও গুরু উগ্ৰভৈরবের গুরু ছিলেন । জগৎগুরু শঙ্করাচার্য্য যখন শ্ৰীশৈলে যাইয়৷ তথাকার নানা ধৰ্ম্মাবলম্বীদিগকে বিচারে পরাস্ত করিয়৷ স্বীয় প্রভাব বিস্তার করিতে লাগিলেন এবং দেশীয় রাজন্তবর্গও তাহার আtঃগত্য স্বীকার করিতে লাগিল । তাহাতে ধৰ্ম্মের নামে অধম্মাচারী ভোগ প্রধান সম্প্রদায়ের বিশেষ ক্ষতি হইতে লাগিল । কাপালিক সম্প্রদায়ের নেতা উগ্রভেরব শঙ্করাচায্যের সহিত বিচারে পর স্ত হইয়া, কাপালিক রাজ ক্রকচকে সংবাদ দেল । ক্রকচ মাচার্য্যের আগমন শুনিয়৷ কয়েকজন অনুচরসহ আচাৰ্য্য সমীপে আসিয়। উপস্থিত হইলেন । র্তাহার সব্বাঙ্গ শ্মশানের ভস্মধার পরিলিপ্ত, এক হস্তে নরকপাল এবং অপর হস্তে পরপ্তযুক্ত শূল, পরিধানে কেপীন ও রক্তবর্ণ বহির্বাস দেখিলে সহজেই ভীতির সঞ্চার হয় । আচাৰ্য্য সমীপে উপস্থি হইয়া ক্র কচ তাহার প্রতি নানা প্রকার কটক্তি করিতে লাগিলেন। ইং.ে ভারতীয়-ঐতিহাসিক সুধম্বারাজ কুপিত হইয়া ক্রকচকে এস্থান হইতে তাড়াইয়; দিবার জন্ত র্তাহার অনুচরবর্গকে আদেশ দিলেন । সুধম্বারাজের অমুচরবর্গ ও ক্রকচের অনুচরবর্গের মধ্যে যুদ্ধ আরম্ভ হইল । অবশেষে ক্রকচ তাহীর সৈন্যগণকে নিরস্ত করিলেন এ1ং আচার্য্যের নিকট আসিয়া—‘রে দুষ্ট ! তুমি আমার,ক্ষমতা দেখ, এখনই তোমাকে সমুচিত শাস্তি দিতেছি । এই বলিয়। ক্রকচ করতলে নৃকপাল রাখিয় নেত্রদ্বয় মুদ্রি ত করিয়া ক্ষণ কাল ধান করিলেন । দেখিতে দেখিতে নৃকপালট মদিরপুর্ণ হইয়। গেল । ক্র কচ তখন অদ্ধেক মদিরা পান করিয়া নৃকপালট রাখিয়া সংহার ভৈরবকে স্মরণ করিলেন । মুহূৰ্ত্তমধ্যে সংহার ভৈরব আবিভূত হইলেন । তিনি সংহীর ভৈরবকে প্রণাম করিয়া আচাৰ্য্যকে দেখাইয়া বলিলেন–‘ভগবন। এই ব্যক্তি আপনার ভক্তের উপর হিংসা করিতেছে, আপনি তাহাকে বধ করুন ? অচিাৰ্য্যও ভৈরবকে দেখিয়৷ তাহার স্তব করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন এক্ষণে স্তব শেষে প্রণাম করিয়া আমুল বৃত্তান্ত ভৈরব সমীপে নিবেদন করিলেন । অচিায্যের কথা শুনিয়া সংহার ভৈরব ক্র কচকে বলিলেন—‘স্বয়ং শঙ্কর দুষ্ট ব্রাহ্মণগণকে দণ্ড দিবার জন্য জগতে আগমন করিয়াছেন । তোমরা সকলে তাহার পূজা কর । এইভাবে পরাস্ত
