খুসরু গিয়াস উদ্দিন তোগলক সিংহাসনে আরোহণ করেন। খুসরুর মূল্যবান গ্রন্থ অতিশয় সমাদৃত হইয়াছিল । খুসরু মালিক-খিলজী বংশীয় শেষ নরপতি কুভব উদ্দিন অতিশয় অকৰ্ম্মণ্য সম্রাট ছিলেন । হাসন নামক একজন হীন জাতীয় কৃতদাস র্তাহার অতিশয় প্রিয়পাত্র ছিল। এই ব্যক্তি পূৰ্ব্বে পরোয়ারী (মুচী) জাতীয় নীচ শ্রেণীর হিন্দু ছিল । মুসলমান নামে মাত্র হইয়া কুতব উদিনের সমুদয় দুষ্কর্ঘ্যের সহায় হইয়াছিল । কুতব উদ্দিন তাহাকে মালিক খুসরু উপাধি দিয়া প্রধান মন্ত্রীর পদে প্রতিষ্ঠিত করেন । খুসরু উন্নতি লাভ করিয়া, বিপুল সৈন্ত শ্রেণীর অধিনায়ক হইলেন । তাঁহাদের সাহায্যে তিনি মালব দেশ লুণ্ঠন করিয়া প্রচুর ধন লাভ করেন । সৰ্ব্বোচ্চ প্রভুত্বের সঙ্গে অপরিমিত ধনরশির ংযোগ হওয়tয়, তাহার রাজ্যের দিকে দৃষ্টি পতিত হইল। স্বীর উদ্বেগু সাধন করিতে উদ্যোগী হইয়া, প্রথমেই তিনি কতিপয় সন্ত্রান্ত লোকের বিরুদ্ধে কুতব উদিনের নিকট অভিযোগ উপস্থিত করিলেন। তাঁহাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হইল এবং তাহার রাজ্য হইতে বিতাড়িত হইলেন। অপর অনেক সন্ত্রান্ত লোক র্তাহীদের দুর্দশ দর্শনে রাজদরবার পরিত্যাগপূর্বক দূরদেশে প্রস্থান করিলেন । খুসরু তাহার জীবনী-কোষ Nの>b" আত্মীয় স্বজন দ্বারা রাজ দরবার পূর্ণ করিলেন । যাহারা খুসরুর দুরভিসন্ধি বুঝিতে পারিলেন, তাহারাও সম্রাট কুতল উদ্দিনকে খুসরুর ভয়ে কিছু বলিতে সাহস পাইলেন না। কাজী জিয়াউদ্দিন বলিতে গিয়াও নিহত হইলেন । ইহার কয়েক দিন পরেই সম্রাট স্বীয় কক্ষেই নিহত হইলেন । খুসরু সম্রাটের বংশধর সকলকেই হতা| করিলেন । অন্তঃপুর মহিলাদের মধ্যেও কেহ কেহু নিহত হইলেন এবং অনেকে তঁtহার অন্তঃপুরে স্থান লাভ করিলেন। হিন্দুদের অমুকুলে অনেক কাৰ্য্য অনুষ্ঠিত হইতে লাগিল। মসজিদের স্থানে দেব মন্দির স্থাপিত হইতে লাগিল । রাজ্যের সন্ত্রীস্ত লোকেরা তহিকে পিতাড়িত করিবার জন্য, লাহোরের শাসনকৰ্ত্ত। গাজীবেগ তোগলককে আহবান করিলেন । তিনি যুদ্ধে মালিক খুসরুকে পরাজিত ও নিহত করিয়া দিল্লী অধিকার করিলেন । খুসরুর রাজত্বকাল মাত্র পাঁচ মাস ছিল । খুসি বিশ্বাস-নদীয়া জেলার দেবগ্রামের নিকটবৰ্ত্তী ভাগ গ্রামে র্তাহার জন্ম হয় । তিনি একটা সম্প্রদায় প্রবর্তিত করেন। উহার নাম ‘খুশি বিশ্বাসী সম্প্রদায় । এই সম্প্রদায়ের মতে খুশি বিশ্বাস চৈতন্য মহাপ্রভুর অবতার । তাহীরা ভোজনাদির সময়ে স্বসম্প্রদায়ের মধ্যে বর্ণভেদ বিচার
