পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৩৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\రీ8') ভূষণ রাখিয়াছিলেন। কেবল তাঁহাই নহে তিনি ভূষণাকে সেবাদাসী করিয়াছিলেন । তাহাদের পক্ক অন্ন তিনি গ্রহণ করিতেন না, কোল জল গ্রহণ করিতেন । তাহার। তাহার গৃহেই অবস্থান করিত। কাজী ইহা শুনিতে পাইয়া আবদুলকে হরিমন্ত্র পরিত্যাগ করিতে বলিলেন । কিন্তু সে বলিল—‘মনুষের ভাষা বিভিন্ন কিন্তু ঈশ্বর এক। আল্ল ও হরি একই । আমি আরবী ফারসী জানি না, আমার মাতৃ ভাষা বাঙ্গালা সুতরাং আমি হরি বলি । যাঁদের মাতৃভাষা আরবী তাহার। আল্লা বলিবে ।” কাজী বিচারে হারিয়া ও তাহীর প্রাণ দও ফরিলেন । তাহার ভগিনী ভ্রাতৃ শোকে জলে ডুবিয়া প্রাণত্যাগ করিল। এই ঘটনায় ব্যথিত হইয়া গঙ্গারাম বৃন্দাবনে চলিয়া গেলেন। আট বৎসর পরে গঙ্গারাম দেশে প্রত্যাবর্তন করিয়া দীর পরিগ্রহ করিতে অভিলাষী হই লেন । কিন্তু তাহাঁকে কোনও ব্রাহ্মণ সমাজে গ্রহণ করিতে সন্মত হইলেন না। অবশেষে গঙ্গারাম সিন্দুরীর জমিদার রাজীব রায়ের শরণাপন্ন হইলেন । রাজীব রায় একজন ক্ষমতাশালী জমিদার ছিলেন । তিনি বহু ব্রাহ্মণ নিমন্ত্রণ করিয়া এক সভা করিলেন । তিনি সভাস্থ সকলকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন— গঙ্গারাম, রূপদয়াল ও ভূষণার সহিত যেরূপ दबशब्ब ভারতীয়-ঐতিহাসিক গঙ্গারাম মৈত্র করিয়াছে, নিত্যানন্দ প্রভু ও অদ্বৈতাচাৰ্য্য হরিদাসের সহিত ঠিক সেইরূপ ব্যবহারই করিয়ছিলেন । হরিদাস ও রূপদয়াল উভয়েই পরম বৈষ্ণব ছিলেন। যখন অদ্বৈত প্ৰভু ও নিত্যানন্দ প্রভুর সন্তানেরা সুব্রাহ্মণ বলিয়া সমাজে প্রচলিত, তখন গঙ্গারামকেও সমাজে গ্রহণ করা কৰ্ত্তব্য । ইহাতে সমাজের জীবনী শক্তিরই পরিচয় পাওয়া যায়। জন্ম দ্বারাই জাতি হয়, কৰ্ম্মদ্বার। কেবল পাপ পুণ্য হয় মাত্র । কৰ্ম্মজপাপ প্রায়শ্চিত্ত করিলেই খণ্ডন হয় । প্রায়শ্চিত্তান্তে গঙ্গারামকে আপনার সমাজে গ্রহণ করুন। এই বাক্য শুনিয়া ব্রাহ্মণদের মধ্যে দুইদল হুইল । শালের বলিলেন— কেন ভাই গঙ্গারাম, আগে কল্লি হেন কাম, কেন খাল ভূষণার পানি । ঘরে দিলি আবদুলে ভাত, হাড়ীতে না ছোয় পতি, তোরে কিসে ফিরে কোলে আনি । শক্তেরা বিরোধী হইলেও, বৈঞ্চবের প্রয়শ্চিত্ত (স্তে র্তাহাকে গ্রহণ করিলেন । পরে গঙ্গারাম ছাতিয়ান গ্রাম নিবাসী কবি ভূষণ চৌধুরীর কন্যাকে বিবাহ করিয়াছিলেন । বীরেন্দ্র শ্রেণীর মধ্যে র্তাহার সঙ্গে সংস্রব বিশিষ্ট কুলীনের অতঃপর ‘ভূষণ পঠীর কুলীন নামে খ্যাত হইলেন । 喻