গদাহোশেম পূৰ্ব্বক কাৰ্য্য আরম্ভ করিয়াছিলেন । কিন্তু তাহা শেষ করিয়া যাইতে পারেন নাই। হিন্দু ধৰ্ম্মের উন্নতির জন্ত দেবালয় নিৰ্ম্মাণ, দেবোত্তর ও ব্রহ্মেত্তের প্রদান প্রভৃতি কাৰ্য্যে তিনি যথেষ্ট অর্থ ব্যয় করিয়াছিলেন । প্রায় পনর বৎসর রাজত্ব করিয়া তিনি ১৬১৭ শ'কের ১৩ই ফান্তুন ( ১৬৯৫ খ্রী: ) পরলোক গমন করেন । গদাহোশেম খন্দকার—এই বিখ্যাত দরবেশ সৈয়দ সুলতান নামক শ্রীহট্টের শাসনকৰ্ত্তার পুত্র | আরাকানরাজ একখানা উৎকৃষ্ট তরবারি সৈয়দ মুলতানকে উপহার দিয়াছিলেন । উত্তরাধিকার স্বত্রে গদাছোশেন তাহ পাইয়াছিলেন । এই ধাৰ্ম্মিক ফকিরের শ্ৰীহট্ট, ত্রিপুরা চট্টগ্রাম প্রভৃতি স্থানে অসাধারণ প্রতিপত্তি ছিল । তিনি এই তরবারি সমসের গাজীকে উপহার দিয়াছিলেন । কথিত আছে তাহারই আশীৰ্ব্বাদে সমসের গাজী ত্রিপুরাধিপতি কৃষ্ণমাণিক্যকে পরাস্ত করেন । সমসেব গাজী দেখ । গন্ধরাদিত্য—চোলরাজ রাজাদিত্যের কনিষ্ঠ ভ্রাতা। রাজাদিতোর পরাজয় ও নিধনের পরে, চোলরাজ্যকে তিনিই রক্ষা করেন। রাষ্ট্রকোটপতি তৃতীয় কৃষ্ণ ৯৪৭ খ্ৰীঃ অব্দে চোলরাজ্য আক্রমণ করেন। এই সময়েই ভীষণ সমরে রাজাদিত্য পরাজিত ও নিহত হন। কিন্তু তঁtহার ভ্রাতা গন্ধর দিত্যের জীবনী-কোষ \ළුA8 বীরত্বে সেবার রাজ্য রঙ্গ পায় । কৃষ্ণ (৭) দেখ । গন্ধৰ্ব্ব ভূঞা—বঙ্গদেশ হইতে যে সমস্ত কায়স্থ কামরূপে যাইয়া উপনিবেশ স্থাপন করেন, তিনি তাহীদের অত্যতম । গন্ধৰ্ব্ব শ্ৰীচন্দন পাল, রাজা—তিনি নারায়ণগড় রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা । তিনি উড়িষ্ণুর গঙ্গ দংশীয় নরপতিদের সামন্ত নরপতি ছিলেন । বৰ্দ্ধমান জেলার অন্তর্গত গড় অমরাবতীর নিকটবৰ্ত্তী দিকনগর গ্রামে তাহার জন্ম হয় । তিনি তীর্থ পর্যটনে বাহির হইয়া উড়িষ্যায় গমন করেন । তৎকালে তথাকার গঙ্গা বংশীয় নরপতির মহিষী প্রসব বেদনায় কষ্ট পাইতে ছিলেন । গন্ধৰ্ব্ব সংবাদ শ্রবণে মহিষীকে একটী ঔষধ প্রদান করিলেন । তাহার ঔষধ প্রয়োগে মহিষী নিৰ্ব্বিঘ্নে একটী পুত্র সন্তান প্রসব করেন । তাহার প্রতিদানে রাজ। র্তাহাকে মেদিনীপুর অঞ্চলে রাজ্য প্রদান করেন। খুরদার রাজা তাহাকে শ্ৰীচন্দন উপাধি প্রদান করেন। তিনি বহু জঙ্গলপূর্ণ ভূমি বাসের উপযুক্ত করিয়৷ প্রজা বসাইয়াছিলেন । র্তাহার স্ত্রীর নাম মধুমঞ্জরী ছিল । তিনি একটা প্রকাও দীর্ঘিকা খনন করাইয়াছিলেন । ১২৬৪—১২৯৬ খ্ৰীঃ অদ পর্যন্ত ৩২ বৎসর রাজত্ব করিয়া তিনি পরলোক গমন করেন। তৎপরে তাহার জ্যেষ্ঠ পুত্র
