পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৩৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গিরিশচন্দ্র বঙ্কিমচন্দ্রের সীতারাম, দুর্গেশনন্দিনী মৃণালিনী, কপালকুণ্ডলা, বিধবৃক্ষ প্রভৃতি উপন্যাসকে, নবীনচন্দ্রের 'পলাশীর যুদ্ধ’কে ; মধুস্থদনের 'aমঘনাদ বধকে’ গিরিশচন্দ্র নাট্যরূপ প্রদান করেন । এই সকল ভিন্ন তিনি বহু নাটক ও প্রহসন স্বয়ং রচনা করেন । তাঁহীদের প্রত্যেকটিই সমভাবে আদৃত হইয়। র্তাহার গৌরব বৃদ্ধি করিয়াছিল । প্রধানতঃ অভিনয় ও নাট্যালয় পরিচালনাতেই তাহার জীবন অতিবাহিত হইয়া থাকিলেও দেশের রাজনীতিক আন্দোলনের সহিত র্তাহার বিশেষ যোগ ছিল । জাতীয় উন্নতির মূল কি, জাতীয় আন্দোলন কিভাবে পরিচালিত হওয়া উচিত, এই সকল বিষয়ে তাহার যে সকল মতামত নাটকান্তর্গত পত্রি পত্রিীর কথোপকথনের দ্বারা প্রচার করিয়াছেন, তাছা হইতে ইহা বেশ প্রমাণ হয় যে, তিনি এই সকল বিষয়েও বিশেষভাবে চিস্ত করিতেন । বিভিন্ন নাটক প্রহসনগুলিতে স্থানকালৌপযোগী উচ্চ অঙ্গের উপদেশ প্রচুর লাভ করা যায় । তাহীর সিরাজদৌল্লা, মীর কাশিম ও ছত্রপতি নাটকের অভিনয় রাজনীতিক কারণে বন্ধ করিতে হয়। প্রথমোক্ত নাটকে তিনি সিরাজের চরিত্রে যে কলঙ্ক বিদেশীয় ঐতিহাসিকগণ লেপন করেন, তাহা ক্ষীগণ করিবার বিশেষ চেষ্টা করেন। জীবনী-কোষ NyᏓý Q পরিবারিক নানা দুর্ঘটনায় একবার গিরিশচন্দ্রের চিত্তবিক্ষেপ ঘটে । সেই সময়ে তিনি যখন মানসিক শান্ত লাভের জন্ত বিশেষ ব্যাকুল ছিলেন, তখন পরমহংস রামকৃষ্ণদেবের সহিত তাহার সাক্ষাৎ হয় । প্রথম দিনের সাক্ষাতে গিরিশচন্দ্র বিশেষ আকৃষ্ট হন নাই, ক্রমে ধীরে ধীরে ঘনিষ্ট পরিচয়ের ফলে পরমহংস দেবের স্বভাব সুলভ সস্নেহ ব্যবহারে ও উপদেশে গিরিশচন্দ্র র্তাহর বিশেষ অনুগত হন এবং তাহাকেই গুরু বলিয়া স্বীকার করেন । মৃত্যুকালীবধি তিনি পরমহংসদেবের প্রতি তাহার শ্রদ্ধ অটুট ছিল । রামকৃষ্ণের উপদেশ তাহীর জীবনে প্রভাব বিস্তার করে । র্তাহার নাটকাবলী হইতে উহার বিশেষ পরিচয় পাওয়া याँध्न । ধৰ্ম্মমতে গিরিশচন্দ্র প্রাচীন তন্ত্রের সনাতন প্রথানুরাগী ছিলেন । শেষ জীবনে গুরুবাদ তিনি জীবনে স্বীকার করিয়াছিলেন এবং উহার স্বপক্ষে মতা মতও প্রকাশ করিতেন । পারিবারিক জীবনে তিনি বিশেষ সুখী হইতে পারেন নাই | একাধিক পুত্র কন্যার ও অন্তান্ত অতি নিকট আত্মীয়ের মৃত্যুতে র্তাহীকে অনেকবার কাতর হইতে হইয়াছিল । তিনি সদালাপী ও বন্ধুবৎসল, পুরুষ ছিলেন । বtঙ্গtলার রঙ্গালয়ের ও নাট্য সাহিত্যের