পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৪০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8이 S) বৃথা বুঝিয়া তিনি মাত্র পাঁচজন শিষ্যসহ আত্মগোপন করিলেন । কিছুকাল একস্থান হইতে অন্তস্থানে গমন করিয়া, আত্মরক্ষা করিতে লাগিলেন । ক্রমে আবার কয়েক সহস্র সৈন্ত সংগৃহীত হইল এবং মুক্তসর নামক স্থানে পুনরায় শিখ মুঘলে সংগ্রাম উপস্থিত হইল । সেই যুদ্ধে গুরু গোবিন্দ জয়ী হইলেন । তদবধি মুওসর শিখদিগের একটি তীর্থক্ষেত্রে পরিণত হইয়াছে । এই সময়ে সম্রাট আওরঙ্গজীব দক্ষিণাত্য বিজয়ে ব্যস্ত ছিলেন বলিয়া, কিছুকাল গুরু গোবিন্দ নিব্বিবাদে ধৰ্ম্ম প্রচার করিয়া বেড়াইতে লাগিলেন । এই সময়ে অা ওরঙ্গজীব তাঁহাকে দাক্ষিণাত্যে নিজ সকাশে আহবান করিলেন । গুরু প্রথমে স্বয়ং গমন না করিয়া, মুঘলদিগের সহিত সংঘর্ষে র্তাহার যে সকল বিপদ, লাঞ্ছনা ও অত্যাচার ভোগ করিতে হইয়াছে, ফার্সী ভাষায় তাই কবিতা রচনা করিয়া সেই সকল বিবরণ সম্রাটের নিকট প্রেরণ করিলেন । তাহ প্রাপ্ত হইয়া সম্রাট পুনরায় তাহাকে আমন্ত্রণ করিলেন। তখন গুরু গোবিন্দ সম্রাট দর্শনের জন্ত দাক্ষিণাত্যে যাত্রা করি. লেন । কিন্তু তিনি উপস্থিত হইবার পূৰ্ব্বেই সম্রাট পরলোক গমন করেন। অতঃপর গুরু গোবিন্দ পরবর্তী সম্রাট ভারতীয়-ঐতিহাসিক গুরু গোবিন্দ্ৰ বাহাদুর শাহের নিকট উপস্থিত হইলেন । তিনিও গুরুকে বিশেষ সমাদরের সহিত গ্রহণ করিয়৷ কিছুকাল পরে পাঁচ হাজারী মনসবদারের উচ্চ পদ প্রদানপূর্বক তাহাকে গোদাবরী প্রদেশের শাসনকৰ্ত্ত নিযুক্ত করিলেন । দাক্ষিণাত্যে শাসনকৰ্ত্তার পদে নিযুক্ত থাকার সময়ে তিনি র্তাহার পূৰ্ব্ববৈরী এক পাঠানের পুত্রদ্বয়ের হস্তে আক্রান্ত হন । গুরু গোবিন্দ পুৰ্ব্বে ক্রোধবশে ঐ পাঠানকে বধ করেন। এক্ষণে তাহার পিতৃ হত্যার প্রতিশোধ লইল । তিনি নিজেও পিতৃ হত্যার প্রতিশোধ লইবার জন্ত যে প্রতিজ্ঞ করিয়াছিলেন, তাহা স্মরণ করিয়া তিনি পাঠান বালকদ্বয়কে মুক্তি দিতে বলিলেন । ঐ ঘটনার পরে তিনি আর অধিক কাল বাচিয়া থাকেন নাই । আঘাত জনিত ক্ষত হইতেই তাহার মৃত্যু ঘটে। ১৭০৮ খ্ৰীঃ অব্দে মাত্ৰ চল্লিশ বৎসর বয়সে, এক অদ্বিতীয় পরমেশ্বরের কৃপা জীবনে উপলব্ধি করিয়া তাঁহারই চরণে প্রার্থনা করিতে করিতে তিনি দেহত্যাগ করিলেন । গুরু গোবিন্দ শিখ সম্প্রদায়কে এক সংঘবদ্ধ বীর ধৰ্ম্মপ্রাণ দেশপ্রেমিক জাতিতে পরিণত করিয়া যান । র্তাহার জীবনে শিখদের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয় নাই বটে কিন্তু তিনি নিৰ্য্যাতিত