পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৪০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গুরুচরণ শিখদের মনে যে স্বাধীনতার স্পৃহা জাগ্ৰত করিয়া দিয়াছিলেন, পরবর্তীকালে তাহ যে কিরূপ উৎকৃষ্ট ফল প্রদান করিয়াছিল, ইতিহাস তাহার সাক্ষ্য দিতেছে । গুরুচরণ গঙ্গোপাধ্যায়— তিনি ফরাসী অধিকৃত চন্দন নগরের অধিবাসী ছিলেন। রঘুনাথ শিরোমণির পরেই র্তাহাকে শ্রেষ্ঠ কথক বলিয়া অভিহিত করিত। তিনি উনবিংশ খ্ৰীঃ শতাব্দীর শেষভাগে বর্তমান ছিলেন । গুরুচরণ দাসগুপ্ত—র্তাহার জন্মস্থান বিক্রমপুরের অন্তর্গত রাজগ্রাম। তিনি পদ্যে মহারাজ রাজবল্লভ সেনের একখানা জীবন চরিত রচনা করিয়াছিলেন । এই গ্রন্থ অবলম্বন করিয়া পরবর্তী সময়ে চট্টগ্রামের অন্তর্গত পড়ৈকোড়া গ্রাম নিবাসী উমাচরণ রায় কাননগো মহাশয়, গদ্যে মহারাজ রজবল্লভের একটা জীবন চরিত ১৮৬০ ইং সালে ঢাকা নগর হইতে প্রকাশ করেন । র্তাহার ভূমিকায় তিনি লিখিয়াছেন যে— “বিক্রমপুর রাজনগরবাসী মৃত গুরুচরণ দাসগুপ্তের বিরচিত পদ্ধ পূরিত শ্ৰীমন্মহারাজের জীবন চরিতের অত্যন্ত জীর্ণশীর্ণ পুরাতন এক গ্রন্থ পাইয় তাহার বাহুল্যাংশ বর্জন পুরঃসর স্থলtংশ উদ্ধার পূৰ্ব্বক যথাসাধ্য যত্ন-ও শ্রম সহকারে এই জীবন চরিত প্রকাশ করিলাম” বোধ হয় গ্রন্থকার অষ্টাদশ শতাব্দীর জীবনী-কোষ 808 শেষভাগেও উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে বর্তমান ছিলেন । গুরুচরণ মহলানবীশ–১৮৩৩ খ্ৰী: অকের ঢাকা জিলার অন্তর্গত মুন্সীগঞ্জ মহকুমার এক গ্রামে র্তাহার জন্ম হয় । তাহার পিতা সীমান্ত মধ্যবিত্ত গৃহস্থ ছিলেন । অতি বাল্যকালেই তিনি পিতৃষ্ঠান হন। গ্রামের পাঠশালায় সামান্ত বাঙ্গালা পড়াশুনা করিবার পর অর্থোপার্জনের জন্য দশ বৎসর বয়সেই পূৰ্ব্ববঙ্গের নানাস্থানে গমন করেন। কতিপয় বর্ষ পরে প্রায় একুশ বৎসর বয়সে, ( ১৭৭৬ শক ) কলিকাতায় গমন করেন। তাহার পূৰ্ব্বেই গ্রামের এক বিদেশ প্রবাসী ছাত্রের নিকট হইতে ব্রাহ্মধৰ্ম্মের সংবাদ পাইয়াছিলেন । কলিকাতায় আসিয়৷ একাধিক মহাজনী আড়তে চাকুরী করেন । এই সময়ে নানারূপ চেষ্টার পর চীৎপুরস্থ রাম মোহন রায় প্রতিষ্ঠিত ব্রাহ্ম সমাজের সংবাদ পাইয়া নিয়মিত তথায় গমন করিতে থাকেন এবং ক্রমে ক্রমে ব্রাহ্ম সমাজের সহিত ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হন। কয়েক বৎসর পরে তাহার এক মাতুল র্তাহাকে কিছু অর্থ সাহায্য করেন। ঐ অর্থ লইয়া এবং কলিকাতাস্থ কয়েকটি ব্রাহ্ম বন্ধুদের সহিত মিলিত হইয়া একটি ঔষধের দোকান প্রতিষ্ঠা করেন। র্তাহার ব্যবসায় বুদ্ধি অতি তীক্ষ ছিল । কিন্তু কখনও অসাধুতা