পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কানাইরাম চারীর হস্তে ইহার শাসনভার অপণ করেন । সম্রাট দিল্লীতে ফিরিয়া আসিতে না আসিতেই, পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী খিলিজি বংশের একজন কৰ্ম্মচারী মল্লখ। তাহাকে পরাস্ত করিয়া মালল দেশ অধিকার করেন এবং কাদির শাহ উপাধী গ্রহণ পূৰ্ব্বক নিজকে স্বাধীন বলিয়া ঘোষণ করেন। তিনি ১৫৪২ খ্রীঃ আব্দ ( হি: ৯৪৯ ) পর্য্যন্ত রাজ্যশাসন করেন । পরে শের শাহশূর মালব অধিকার পূৰ্ব্বক তাহার মন্ত্রী এবং আত্মীয় সুজাখাকে এই প্রদেশ প্রদান করেন । কানাইরাম—(১) তিনি কোটার রাও মধু সিংহের চতুর্থ পুত্র । মধু সিংহ বুন্দির অধিপতি রাও রত্বের দ্বিতীয় পুত্র। ১৫৭৫ খ্ৰীঃ অব্দে মধু সিংহের জন্ম হয় । চতুর্দশ বর্ষ বয়ঃক্রমকালে ( ১৫৮৯ খ্ৰী: ) বিশেষ বীরত্ব প্রদর্শন করিয়া সম্রাট আকবরের নিকট তিনি কোটা রাজ্য পুরস্কারস্বরূপ প্রাপ্ত হইয়াছিলেন । ১৬৩১ খ্ৰীঃ অব্দে মধুসিংহ পরলোক গমন করিলে, তাহার পঞ্চ পুত্রের মধ্যে রাজ্য বিভক্ত হয় । তদনুসারে জ্যেষ্ঠ মুকুন্দ সিং কোট প্রাপ্ত হন । দ্বিতীয় মোহন সিং পোলৈট, তৃতীয় জুজার সিংহ কোটরা ও রামগড় রিলাবন, চতুর্থ কানাইরাম কোইল, দে ও গুড়া নামক স্থানত্রয় এবং পঞ্চম কিশোর সিংহ সঙ্গোদ নামক স্থান প্রাপ্ত হইয়াfছলেন । জীবনী-কোষ سراNO সম্রাট আওরঙ্গজীব পিতা শাজাহানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করিলে, মধুসিংহের পঞ্চ পুত্রই সম্রাট শাজাহানের পক্ষীবলম্বন করিয়। যুদ্ধ করিয়াছিলেন । তন্মধ্যে এক কিশোর সিংহ ব্যতীত সকলেই যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণত্যাগ করেন। মুকুন্দের পুত্র অপুত্রক প্রাণত্যাগ করিলে, কানাইরামের পুত্র পরমসিংহ কোটার রাজা হইয়াছিলেন । কিন্তু ছয়মাস পরেই এই অকৰ্ম্মণ্য পরম সিংহকে বিতাড়িত করিয়া, কিশোর সিংহকে কোট রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত করেন । (২) এই কানাইরাম যোধপুর রাজ অভয়সিংহের সময়ে (১৭২৫১৭৫০ খ্রী: ) অন্ততম তাহার সামন্ত নরপতি ছিলেন । অভয়সিংহের মৃত্যুর পরে তঁtহfর পুত্র রামসিংহ রাজা হন । রামসিংহ অতিশয় দুৰ্ব্বিনীত ছিলেন । র্তাহার অশিষ্ট ব্যবহারে কুম্পাবৎ সর্দার কানাইরাম প্রভৃতি রাজ্যের প্রধান প্রধান সর্দারেরা বিদ্রোহী হইয়া তাহাকে বিতাড়নপূৰ্ব্বক অভয় সিংহের ভ্রাতা ভক্তসিংহকে সিংহাসন প্রদান করিয়াছিলেন । কানাইলাল আচাৰ্য্য – বাঙ্গালা দেশে যে ডাকের গহনাদ্বারা প্রতিম। সাজান হয়, তহি. উদ্ভাবন নদীয়। জিলার অন্তর্গত উলা বা বীরনগর বাসী কানাই অfচাৰ্য্য ও নীলমণি আচার্য্য প্রথম করেন । ১৮৫৬ সালে বীরনগরে