গোপালকৃষ্ণ উচ্চশ্রেণীর সরকারী চাকুরীতে উপযুক্ত দেশবাসীর প্রবেশ আধুনিককালে অপেক্ষাকৃত সহজসাধ্য হইলেও, পূৰ্ব্বে উহা দেশবাসীর নিকট তুরাশ মাত্র ছিল । এই অতি প্রয়োজনীয় বিষয়ে ও গোখলে মহাশয় যথাযোগ্য মনোযোগ প্রদান করিতেন । সুযোগ পাইলেই এবিষয়ে কর্তৃপক্ষের ঔদাসীন্ত এবং তৎফলে দেশীয় ব্যক্তিদের অসন্তোষ বিশেষ নির্ভিক ভাবে প্রকাশ করিতেন । সাধারণ চাকুরীর ন্তায় অন্নবস্ত্র সংস্থানের চিন্তা ছাড়া, উচ্চদায়ীত্বপূর্ণ পদ লাভ করিতে ন পারিয়া, দেশবাসীগণ যে নিজদিগকে নিম্ন শ্রেণীর ব্যক্তি বলিয়। মনে করিতে বাধ্য হন এপ তাহার জন্তই যে শিক্ষিত লোকদিগের মধ্যে অসন্তোষ ক্রমশঃ বৃদ্ধি প্রাপ্ত হইতেছে এবং পরিণামে উহার ফল যে ভাল হইবে না, এই সকল বিষয় তিনি পুনঃ পুনঃ বিভিন্ন স্থানে বক্তৃত ও প্রবন্ধ রচনা দ্বারা প্রকাশ করিতেন । বিষয়ে এযাবৎ যে সীমান্ত কিছু ফল লাভ করা গিয়াছে, সে সমুদয়ই গোখলে মহাশয়ের ন্তায় কতিপয় শ্রেষ্ঠ রাজনীতিকদের অবিশ্রান্ত চেষ্টার ফল তাহা অস্বীকার করিবার উপায় নাই । ১৯০৪ খ্ৰী: অব্দে লর্ড কার্জন এদেশের উচ্চ শিক্ষা পদ্ধতির যে সংস্কার প্রবর্তনের চেষ্টা করেন, তাহা যে মুখ্যতঃ শিক্ষা বিস্তারের পরিপন্থী হইবে, ইহা ت C জীবনী-কোষ 8ළුෆ বুঝিতে পারিয়া তিনি এ বিষয়েও নিজ ক্ষমতা প্রয়োগ করেন। দেশব্যাপী ঘেীর প্রতিবাদ সত্ত্বেও ঐ বিষয়ে আইন বিধিবদ্ধ হয় । কিন্তু উহার বিরুদ্ধে গোখলে মহাশয়ের প্রবল প্রতিবাদ দেশবাসী চিরকাল কৃতজ্ঞ তীর সহিত স্মরণ করিবে । এই ভাবে সুদীর্ঘ তের ভারতীয় শাসনপরিষদের তিনি যে ভাবে ভারত সরকারের অর্থনীতির সমালোচনা ও তৎসঙ্গে কি নীতি অবলম্বন করিলে, দেশ প্রকৃতপক্ষে লাভবান হইবে, তাহ পুঙ্খানু পুস্থাপপে বিশেষজ্ঞের চায়, তথ্যসহ দেশের সকল লোকের নিকট উপস্থিত করিয়া, প্রকৃত দেশ সেবার এক শ্রেষ্ঠ উদাহরণ রাখিয়া গিয়ছেন, তাহ। তাহার পূৰ্ব্বে বিশেষ কেহ করেন নাই, পরেও অধিক ব্যক্তি করিতেছেন না । এদেশের রাজনীতি তত্ত্ব ইংলণ্ডবাসীদের সম্যক গোচরে আনিবার প্রয়োজনীয় তা, জননায়কগণ বহুকাল হইতেই অনুভব করিতেছিলেন এবং এ বিষয়ে কিছু কিছু চেষ্টাও হইয়tছল। কিন্তু উপযুক্ত লোকের অভাবে, এই অত্যাবগুক বিষয়টির প্রতি যথেষ্ট মনে৷ ८य् [?| ८ 3ः श्ब्र नfं ।। ७b*०१ ॐी: তিনি প্রথম বার ইংলণ্ডে গমন করেন। তখন তিনি রাজনীতি ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী মাত্র । কিন্তু তাহ হইলেও তিনি যে বৎসরকাল সদস্তরূপে
