কাবুল শাহ সুলতানের তৃতীয় সিংহাসনে আরোহণ করেন । মালিক কাফুরই দাক্ষিণাত্যে প্রথম মুসলমান পতাকা উড্ডীন করেন । যদিও সেই অভিযানের ফল স্থায়ী হয় নাই । কাবুল শাহ-তিনি আফগানিস্থানের শাহাবংশীয় হিন্দু নরপতি । ইরাণের শাসনকৰ্ত্ত হেজাজ, ৬৫০ খ্ৰীঃ অব্দে হিরাট জয় করেন । তংপরে ৬৬৩ খ্রীঃ অব্দে তিনি আফগানিস্থান জয় করিবার জন্ত আবদুল রহমান নামক সুদক্ষ সেনাপতিকে প্রেরণ করেন । তিনি ডক্ত দেশ জয় করিয়া বহুলো ককে বিশেষতঃ যোদ্ধাদিগকে তরবারি মুখে নিক্ষেপ করেন । স্ত্রীলোক ও বালক বালিকা দিগকে বন্দী করিয়া স্বদেশে প্রত্যাগত ছন । কাবুল শাহ ইসলাম ধৰ্ম্ম অবলম্বন কfরবেন এই প্রতিশ্রুতিতে নিস্কৃতি লাভ করেন । ইহার কিছুদিন পরেই আফগানিস্থান আবার স্বাধীনতা লাভ করে। ইরাণের শাসনকৰ্ত্তা হেজাজ এইবারে অবেইদুল্লাকে তৎপ্রদেশ অধিকার করিতে প্রেরণ করেন । সেনাপতি অবেইদুল্লা ভীষণরূপে পরাজিত হইয়। সাতলক্ষ মুদ্র প্রদানপূৰ্ব্বক নিস্কৃতি লাভ করেন । তৎপরে আবার হেজাজ আবদুল রহমানকে করেন । এইবার সেনাপতি আবদুল রহমান প্রেরণ জীবনী-কোষ 8रै পুত্র মুবরিক কাবুল শাহের সাহায্যে রক্ষা পান । এই ইতার পর আর কোন উৎপাত হয় নাই ( অসুমান খ্রী: ৭০০ অব্দ । ) কামগার খা — তিনি কোন সালে উড়িষ্যার সুবেদারী পদ লাভ করেন তাহা জানা যায় নাই । কিন্তু ১৭০৪ খ্ৰী: অব্দে তাহীর পদে মুরশিদকুলি গ নিযুক্ত হইয়া আসেন । ১৭০৬ সালে তাহার জামাতা সুজাউদ্দিন মোহাম্মদ খা উড়িষ্যার নায়েব নাজিম নিযুক্ত হন । কামদেব — শ্ৰীচট্টের উত্তর দিকস্থ জয়ন্তিয়া রাজ্যে খ্ৰীষ্টীয় একাদশ শতাব্দীতে কামদেব নামে এক রাজা ছিলেন । তাহীর সভাপণ্ডিত কবিরাজ নামক এক কবি ‘রাঘ পাণ্ডীয়’ নামক কাব্যের রচয়িত । কবিরাজ দ্র: | (১) কামদেব নামে এক জন বৈষ্ণব পদকৰ্ত্ত ছিলেন । কামদেব রায় চৌধুরী – কামদেব ও জয়দেব নামে দুই সহোদর ভাই যশোহর বেভুটিয়ার জমিদার ছিলেন । নবাব খাঞ্জে আলীর উজির স্বধৰ্ম্ম ত্যাগী মোহাম্মদ তাহিরের পরামর্শে তাই রা নপাব কর্তৃক জাতিচু্যত হইয়। মুসলমান ধৰ্ম্ম গ্রহণ করিতে বাধ্য হন । যশোহরের পাচ ক্রোশ দূর্ববর্তী সিংহিকা গ্রাম তাহারা জায়গীর প্রাপ্ত হন । সাতক্ষীরা, হোশেনপুর, মাগুর, বমুলিয়৷ প্রভৃতি স্থানে তাঙ্গাদের বংশধরের হেজাজের বিরুদ্ধে দণ্ডায়মান হইয়া | এখনও দৰ্ত্তমান আছেন।
