এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জীবনী কোষ
ভারতীয়-ঐতিহাসিক
ক
ককাই সান্তরা, মহাপাত্র—তিনি উড়িষ্যার বিখ্যাত সূর্য্যবংশীয় নরপতি। কপিলেন্দ্রের (১৪৩৫–১৪৭০ খ্রীঃ) অন্যতম সেনাপতি ছিলেন। তিনি বাহমনিংশের নবাব হুমায়ুন শাহ বাহমনির প্রেরিত সেনাপতি খাজা জাহানকে পরাজিত করেন। কপিলেন্দ্র দেখ।
ককুস্থ—তাঁহার অন্য নাম কক্কুব। তিনি কনৌজের প্রতীহারবংশের প্রতিষ্ঠাতা নাগভটের ভ্রাতা কক্কের পুত্র। নাগভট কনৌজের বর্ম্মাবংশীয় শেষ নরপতি চক্রায়ুধকে পরাস্ত করিয়া, কনৌজে ৭২৮ হইতে ৭৪০ খ্রীঃ অব্দ পর্য্যন্ত রাজত্ব করেন। তৎপরে তাঁহার ভ্রাতুষ্পুত্র ককুস্থ ৭৪০—৭৫৫ খ্রীঃঅব্দ পর্য্যন্ত রাজত্ব করেন। নাগভট দেখ।
কক্ক—তিনি দাক্ষিণাত্যের রাষ্ট্ৰকূটংশীয় নরপতি খোট্রিকের ভ্রাতা নিরুপমের পুত্র। তিনি দ্বিতীয় কক্ক বা চতুর্থ অমোঘবর্ষ নামেও খ্যাত ছিলেন। তিনি খুব বীর পুরুষ ছিলেন এবং গুর্জ্জর, চোল, হুলবি, পাণ্ড্য প্রভৃতি দেশ জয় করিয়াছিলেন। ৯৭২ খ্রীঃ অব্দে খোট্রিক নিত্যভের মৃত্যুর পরে তিনি রাজা হন। কিন্তু মালবদেশের অধিপতি হর্ষ ও মুঞ্জের আক্রমণে তিনি শেষে বড় দুর্ব্বল হইয়া পড়েন। এই সময়ে ৯৭৪ খ্রীঃ অব্দে চালুক্যবংশীয় তৈলপ তাঁহাকে পরাস্ত ও রাজ্যচ্যূত করেন। তৈলপ পরে তাঁহার কন্যা জক্কবাকে বিবাহ করেন। দন্দীবর্ম্মা দেখ।
কক্কল—তিনি রাষ্ট্রকূটবংশের শেষ নরপতি। যদিও তিনি একজন বীর পুরুষ ছিলেন, তথাপি মালব দেশের অধিপতি হর্ষ ও মুঞ্জের আক্রমণে অতিশয় দুর্ব্বল হইয়াছিলেন। এই সময়ে চালুক্য বংশীয় তৈলপ তাঁহার রাজ্য আক্রমণ করিয়া তাহাকে রাজ্যচ্যূত করেন।