পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-পঞ্চম খণ্ড.pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফকরউদ্দিন যুদ্ধে পরাজিত ও নিহত হইলেন । আলী মোবারক এখন সুলতান অলাউদ্দিন আবুল মুজাফর আলীশাহ নাম গ্রহণপূর্বক লক্ষ্মণাবতীর সিংহাসনে স্বাধীন নরপতি রূপে আরোহণ করলেন । এদিকে ফ করউদিনের জামাত। জাফর খাঁ পলায়নপুৰ্ব্বক দিল্লীর সম্রাট ফিরোজ শাহের আশ্রয় গ্রহণ করিলেন এবং তাঁহারই অনুরোধে সম্রাট বাঙ্গালা দেশ আক্রমণ করলেন । সুলতান ফকরউদ্দিন যুদ্ধে পরাজিত, বন্দী ও নিহত হইলেন । এই ঘটনাট সত্য নহে কারণ ইহা ১৩৫০ খ্রী: অব্দে সংঘটিত হয় । ইহার পরেও ফ করউদ্দিন জীবিত ছিলেন । সুলতান ফকরউদ্দিন ১৩৩৮ খ্ৰীঃ– ১৩৫২ খ্রী; অব্দ পর্য্যন্ত রাজত্ব করেন । তাহার রাজত্বকালে আফ্রিক। দেশের ভ্রমণকারী ইবন বতুতা ভারত ভ্রমণে আসিয়াছিলেন । তিনি সুলতান ফকরউদ্দিন সম্বন্ধে লিথিয়াছেন যে, ফকরউদ্দিন সাধু ফকির ও দরবেশদিগকে অতিশয় ভক্তি ও বিশ্বাস করিতেন। তাছার রাজধানীর নিকট বৰ্ত্তী স্থানে কোন ফকীর হইতেই কর গৃহীত হইত না । এমন কি নিঃস্ব বলিয়া ফকিরদিগকে প্রত্যেক গ্রাম হইতে অৰ্দ্ধদিরাম করিয়া দান করিবার নিয়ম করিয়া দিয়াছিলেন । তিনি সইদী নামে একজন মুসলমান ফকিরকে জীবনী-কোষ S888 সপ্তগ্রামের ফৌজদারের পদে নিযুক্ত করিয়াছিলেন । একবার সুলতান যুদ্ধার্থ অন্য ত্ৰ গমন করিলে, সইদ। র্তাহার অনুপস্থিতির সুযোগে তাহার একমাত্র পুত্রকে হত্যা করিয়া স্বাধীনত। ঘোষণা করেন । মুলতান ফকরউদ্দিন এই সংবাদ শ্রবণ মাত্র রাজধানীতে প্রতা বৰ্ত্তন করেন ; সইদ সোনার গায়ে পলায়ন করেন । সুলতান তাহীকে ধৃত করিপার জন্য সৈন্ত প্রেরণ করিলেন । সোনার গায়ের লোকের। ভয়ে ফকির সইদাকে ধৃত করিয়া সৈন্যদের হস্তে সমপণ করিল। তাহার। সইদকে বধ করিয়। র্তীচার ছিন্ন মস্তক সুল তানের নিকট প্রেরণ করিল । সইদার অনুবী আর ও অনেক ফকির সইদার কল্যাণে প্রাণবিসর্জন করিয়াছিলেন । সুলতান ফকরউদিনের বেগমের মৃতবৎসা দোষ ছিল । ঐহর্ষ সেন নামক একজন সুচিকিৎসক তাহাকে চিকিৎসা করিয়া আরোগ্য করেন । সুলতান ইচাতে অতিশয় সন্তুষ্ট হইয়া তাহাকে বীরভূমের অন্তর্গত সেনভূম পরগণার জমিদারী ও রাজ উপাধি প্রদানপূৰ্ব্বক সন্মানিত করিয়াছিলেন । শ্ৰীহৰ্ষসেনের পুত্র বিনায়ক সেন ও চিকিৎসা গুণে গৌড়ের মুসলমান রাজ গণ হইতে গজ, কনকছত্র প্রভৃতি লাভ করিয়াছিলেন। সুলতান ফকরউদিনের মৃত্যুর পরে