S8&6. হস্তী ও বহু মুল উপহার প্রদান কfরতে সন্মত্ত হইলেন । কিন্তু জাফর খ। আর বঙ্গদেশে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিতে সন্মত হইলেন না। সুতরাং সিকদেরই সুবর্ণ গ্রামের অধীশ্বর রছিলেন । দ্বিতীয়বার বঙ্গ অভিযানের পরেই তিনি উড়িষ্ণু অfক্রমণ করেন । সেই সময়ে গঙ্গবংশীয় তৃতীয় ভাসুদেব ( ১৩৫২—৭৯ খ্রী: ) উড়িষ্যার রাজা ছিলেন । তিনি ফিরোজ শাহের অভি. যানের খবর পাইয়াই প্রথমে পলায়ন द*८१न । মন্দির অপবিত্র করিয়া, জগন্নাথের মূৰ্ত্তি সমুদ্র জলে নিক্ষেপ করেন । পরে রাজা প্রতি বৎসর কর স্বরূপ কতকগুলি হস্তী দিতে সন্মত হইয়। পতি শাহের সহিত সন্ধি স্থাপন করিলেন । এই সময়ে বঙ্গের আরও কয়েকটী রাজার সহিত সন্ধি স্থাপন করিয়া ফিরোজ শাহ দিল্লীতে প্রত্যা বৰ্ত্তন করিলেন । পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী সম্রাট মোহাম্মদ তোগলক নগর কোটের দুর্গ জয় করিয়াছিলেন। কিন্তু অল্পকাল পরেই দুর্গাণিপতি স্বাধীনতা অবলম্বন করেন। ফিরোজ শাহ এক্ষণ দুর্গ আক্রমণ করিয়া (১৩৬০ –৬১ খ্ৰী: ) অধিকার করিলেন । নগর কোটে জালামুখী তীর্থ অবস্থিত । ভারতীয়-ঐতিহাসিক ফিরোজ শাহ জগন্নাথের । ফিরোজ শাহ এই জন্ত ও ইহার ধ্বংস সাধন প্রয়োজন । অতিশয় গোড়। মুসলমান ফিরোজ শাহ ইহার ধ্বংস সাধন অতি পুণ্য কাৰ্য্য বলিয়া মনে করিলেন । ছয় মাস দুর্গ অবরোধের পর উভয় পক্ষ খুব অবসন্ন হইলেন। ফিরোজ শাহ দুর্গাধিপতিকে ক্ষমা করিলেন । দুর্গপতি দিল্লীর সম্রাটের নিকট ক্ষমা চাহিলেন । ফিরোজ শাহ তাহাকে ক্ষমা করিয়া স্বপদে পুনঃ প্রতিষ্ঠিত করিলেন । ভূতপূৰ্ব্ব পা তশাহের উপর দুৰ্ব্ব্যবহারের প্রতিশোধ লইবার জন্য ফিরোজ শাহ ১৩৬২ সালে তfত্তী অভিযান আরম্ভ করেন । এই বিপুল বাহিনীতে ৯ • হাজার অশ্বারোহী ও চারি লক্ষ পদাতিক, ৪৮ •ট হস্তী ও পাচ হাজার নেকি। ছিল । সিন্ধুদেশবাসী জাম ববিনিয়া নামক সেনাপতি বিংশতি সহস্ৰ অশ্বারোহী ও চারি লক্ষ পদাতিক সহ যুদ্ধার্থ প্রস্তুত হইলেন । কিন্তু এমন সময়ে দেশে দুর্ভিক্ষ ও মহামারী উপস্থিত চুইয়া এক চতুর্থাংশ সৈন্ত ক্ষয় হইল। এই উৎসাহহীন অবশিষ্ট সৈন্তের আক্রমণ করিয়া শত্রু সৈন্তকে দুর্গে আশ্রয় লইতে বাধা করিল। ফিরোজ শাহ আর যুদ্ধে অগ্রসর হইতে ইচ্ছা করিলেন ন। । তিনি গুজরাটে গমন করিয়া নুতন সৈন্ত সংগ্রহের অভিলাষী হইলেন। এই তীর্থ দর্শনে হাজার হাজার যাত্রী কিন্তু প্রত্যাবৰ্ত্তনকালে একজন পথ প্রতি বৎসর আগমন করিয়া থাকে । পরিদর্শকের প্রতfরনায় তাহার কচ্ছ
