ჯჩ\ყა প্রতিপন্ন করিতে যত্নবান হন । ফিরোজ শাহ মন্ত্রী বাক্যে আশ্বাস স্থাপন করিয়। রাজকুমারকে ধুত করিবার আদেশ প্রদান করেন । রাজকুমার পূৰ্ব্বেই ইহা জানিতে পায়িয়া কতকগুলি সুশিক্ষিত সৈন্তদ্বার স্বীয় আবাসস্থল সুরক্ষিত করিয়াছিলেন । এইভাবে কিছুকাল অতীত হইলে, রাজকুমার স্বীয় মহিষীকে রাজ অন্তঃপুরে পাঠাইলার অনুমতি পাইলেন। একদিন রজনীযোগে তিনি পত্নীর পরিবর্তে ঘেরা পাল্কীতে রাজঅস্তঃপুরে গমন করেন । পান্ধী হইতে রাজকুমার বাহির হওয়৷ মাত্র, পুরমহিলারা ভয়ে পাতশাহের নিকট উপস্থিত হইলেন । রাজকুমার ও তাহাদের পশ্চাৎ পশ্চাৎ পাতশাহের সমীপে উপস্থিত হইয়। তাছার পদতরে পতিত হইলেন । রাজকুমার বলিলেন —‘পিতঃ, আপনি যে আমাকে সন্দেহ করিতেছেন, ইচাই আমার পক্ষে মৃত্যু যন্ত্রণাপেক্ষা অধিক আমি আমার জীবন আপনার পদে সমর্পণ করিলাম। আমি নির্দোষ, মন্ত্রী রাজসিংহাসনের অভিলাষ হইয়া, আমাকে আপনার নিকট রাজদ্রোহী বলিয়া প্রমাণ করিতে চায় ।” তিনি পুত্রের বাক্যে আশ্বস্ত इहेब्र র্তাহাকে আলিঙ্গন করিলেন এবং মন্ত্রীকে ধৃত করিয়া প্রতিশোধ লইতে আদেশ দিলেন। রাজকুমার অবিলম্বে সসৈন্তে মন্ত্রীর ভবন আক্রমণ করিলেন। ভারতীয়-ঐতিহাসিক ফিরোজ শাহ মন্ত্রী ভয়ে পলায়ন করিলেন । কিন্তু এক জন সেনাপতি র্তাহার পশ্চাদমুসরণ করিয়া, তাহার ছিন্ন মস্তক রাজকুমারকে আনিয়। উপস্থার দিলেন । বৃদ্ধ মুলতান মোহাম্মদের হস্তে রাজ্য ভার সমর্পণ পূৰ্ব্বক,অবসর গ্রহণ করিলেন। মোহাম্মদ নাশিরউদ্দিন নাম গ্রহণপূর্বক রাজ কাৰ্য্য পরিচালনা করিতে লাগিলেন । কিন্তু বিলtiসতায় মগ্ন হওয়াতে রাজ কার্য্যে বিশৃঙ্খল উপস্থিত হইল। তখন দিল্লী ও ফিরোজীবাদে এক লক্ষ ক্রীতদাস ছিল। তাহার। নাশিরউদ্দিনকে পরিত্যাগ করিয়া মন্দ লোকের পরামর্শে বুদ্ধ সুলতানের আশ্রয় গ্রহণ করিল ; নাশির উদ্দিন ইহাতে ক্রুদ্ধ হইয় তাহাদিগকে নিৰ্য্যাতন করিতে লাগিলেন । দুইদিন রক্ত স্রোতে রাজপথ রঞ্জিত হইল । তৃতীয় দিনে ক্রীতদাসের ফিরোজ শাহকে সৈন্তাবাসের সম্মুখে আনিয়া স্থাপন করিল। নাশিরউদিনের পক্ষীয় সৈন্তেরা তাহাকে পরিত্যাগ করিয়া, ফিরোজ শাহের পক্ষ অবলম্বন করিল ( ১৩৮৫ খ্ৰী: ) । নাশিরউদ্দিন উপায়ু না দেখিয়া, শতদ্রুর উৎপত্তি স্থলের নিকটে শিরমুর পর্বতে পলায়ন করেন। ফিরোজ শাহ স্বীয় পৌত্র ( মৃত পুত্র ফতে খার পুত্র ) ভৌগলিককে ( ২য় গিয়াসউদ্দিন ) সিংহাসন প্রদান করেন । ইহার পরেই সম্রাট ফিরোজ শাহ ১৩৮৮ খ্ৰীঃ অব্দে পরলোক গমন করেন ।
